হুমায়ূন
আহমেদ এর শুভ্র সিরিজের বই দারুচিনি দ্বীপ। গল্পের শুরু হলো কয়েকজন
বালকের পরিচয় দিয়ে। যাদের মধ্যে শুভ্র, সঞ্জু, বল্টু অন্যতম। নীরা, আনুশকা,
জরী সহ ৫জন বালিকা চরিত্রও এখানে বিদ্যমান। তারা ট্যুরে যাবে দারুচিনি
দ্বীপ।
শুভ্র চশমা ছাড়া চোখে দেখে
না। মোটামুটি ধনী পরিবারের একমাত্র ছেলে। শুভ্রর বাবা খুবই বুদ্ধিমান। বাবা
মায়ের একমাত্র ছেলে শুভ্রর জগত হচ্ছে ইউনিভার্সিটি, নিজের ঘর আর বইয়ের
টেবিল। তেমন কোনো ভালো বন্ধুও তার নেই। সবাই তাকে কানাবাবা বলে খেপাত।
ইউনিভার্সিটিতে ক্লাসের সবার একটা নাম আছে চশমা ছাড়া দেখতে পায়না বলে
শুভ্রর নাম দেয়া হয় কানা বাবা। দারুচিনি দ্বীপে যাওয়ার জন্য বাবা মায়ের
উৎসাহ পেয়ে গেলো ঠিকি কিন্তু বন্ধুরা তাকে নিতে আগ্রহী নয় কেননা তাকে নিলে
কোনো বিপদ হলে কোলে নিয়ে ঘুরতে হবে।
লেখক
শুভ্র ছাড়াও আরো কয়েকজন তরুনের পরিচয় তুলে ধরেছেন তাদের মধ্যে একজন সঞ্জু।
সঞ্জু বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে ওর ছোট ৩টা বোন আছে। অসচ্ছল পরিবারের
সন্তান। দারুচিনি দ্বীপে যাওয়ার জন্য এক হাজার টাকা জোগাড় করতে কি কষ্ট
হয়েছে সেই ঘটনার বাস্তব চিত্রই যেন লেখক তার লেখনিতে তুলে ধরেছেন। সঞ্জুর
ছোটবোনকে নিয়ে বল্টুর ভালোবাসার ছিটেফোঁটাও বর্নিত আছে এই অংশে। যে কিনা
মায়ের কাছ থেকে সঞ্জুর জন্য জমানো টাকা চুরি করে বল্টুর জন্য সুয়েটার
কিনেছে।
দারুচিনি দ্বীপে যাওয়া
মেয়েদের মধ্যে আনুশকাকে নিয়ে লেখক অনেক লিখেছেন। ধনী পরিবারের একমাত্র
মেয়ে, মা আনুশকা আর তার বাবাকে ছেড়ে চলে গেছে অন্য একজনকে বিয়ে করে। তাদের
বাড়ির কুকুর মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে আনুশকা দারুচিনি দ্বীপে না যাওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। শেষ অবধি কি তার যাওয়া হলো!
লেখক
জরীকে নিয়ে লিখেছিলেন এক অংশে। জরীর বিয়ে ঠিক হওয়ায় সে দারুচিনি দ্বীপে
যাচ্ছেনা। কিন্তু যাওয়ার ইচ্ছে প্রবল আবার বিয়েতেও রাজি নেই। দারুচিনি
দ্বীপে যাওয়ার দিনেই জরীর বিয়ের তারিখ ঠিক হলো।
শেষ মুহুর্তে কী হলো? কে কে যেতে পারলো স্বপ্নের দারুচিনি দ্বীপে!
বইঃ দারুচিনি দ্বীপ
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকঃ অনুপম প্রকাশনী
মূল্যঃ ২৩০ টাকা
Md. Helal Uddin
20.09.2024
No comments:
Post a Comment