Showing posts with label অনুপ্রেরণার কথা. Show all posts
Showing posts with label অনুপ্রেরণার কথা. Show all posts

Sunday, September 15, 2024

ক্রোধ বা রাগ মানুষের জন্য বহু অনিষ্টের কারণ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

ক্রোধ বা রাগ মানুষের জন্য বহু অনিষ্টের কারণ। রাগের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয় আবার এ রাগই মানুষকে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত করে দেয়। রাগ এমন এক জিনিস; যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এ জন্য রাগ বা ক্রোধ নিয়ন্ত্রণকারীকে হাদিসে বীর পুরুষ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘ওই ব্যক্তি বীর পুরুষ নয় যে অন্যকে ধরাশায়ী করে; বরং সেই প্রকৃত বীর যে রাগ বা ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
এ রাগের ফলে মানুষ অনেক নির্দয় ও অত্যাচারমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে যার জন্য লজ্জিত হতে হয় আবার ক্ষেত্র বিশেষ অনেক কঠিন খেসারত দিতে হয়। তাই মানুষের উচিত কোনো অবস্থাতেই রাগ বা ক্রোধ প্রকাশ না করা।
মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় একজন আরেকজনকে ক্ষমা করে দেয়া সহজ ব্যাপার; কিন্তু রাগের সময় ক্ষমা করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। প্রকৃত মুমিন যারা তারা রাগের সময়ও অন্যকে ক্ষমা করে দেয়। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের প্রশংসায় বলেন, ‘এবং যখন তারা ক্রোধান্বিত হয় তখনও তারা ক্ষমা করে দেয়।’ (সুরা শুরা : আয়াত ৩৭)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে রাগ থেকে নিজেদের হিফাজত করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে চিকিৎসক ও আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিগণ যে উপদেশগুলো মানুষকে দিয়ে থাকেন, তার মধ্যে রাগ থেকে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা অন্যতম। রাগের কারণে মানুষের দ্বারা অত্যাচার থেকে শুরু করে অধিক উত্তেজিত হওয়ার ফলে জীবনহানির সম্মুখীন হয়।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ওসিয়ত (উপদেশ) করুন। তিনি বললেন, রাগ করবে না। লোকটি বারবার তার কথাটি বলতে থাকলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও একই জবাব দিলেন এবং বললেন রাগ করবে না।’ (বুখারি, মিশকাত)
রাগ বা ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাগ বা ক্রোধ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুনকে পানি দ্বারা ঠাণ্ডা বা নিভানো যায়। যদি কেউ রাগ বা ক্রোধান্বিত হয়; তবে তার উচিত অজু করে নেয়া। (আবু দাউদ, মিশকাত)
অন্য হাদিসে হজরত আবু যর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যদি দাঁড়ানো অবস্থায় কেউ রাগ বা ক্রোধান্বিত হয়, তবে সে যেন বসে যায়। এতেও যদি তা প্রশমিত না হয় তবে সে যেন শুয়ে পড়ে। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)
পরিশেষে, সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠনে দুনিয়া ও পরকালের শান্তি ও কল্যাণ লাভে সর্বাবস্থায় রাগ বা ক্রোধ থেকে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অযথা রাগের কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।
রাগের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকার জন্য বিশ্বনবির ছোট্ট একটি হাদিসই যথেষ্ট। আর তা হলো- ‘রাগ মানুষের ঈমানকে নষ্ট করে দেয় যেমনিভাবে তিক্ত ফল মধুকে নষ্ট করে দেয়।’ (বাইহাকি, মিশকাত)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাগ বা ক্রোধের অনিষ্ট থেকে হিফাজত করুন। সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন গঠন এবং ঈমান রক্ষায় আত্মনিয়োগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।।

ক্রোধ বা রাগ মানুষের জন্য বহু অনিষ্টের কারণ 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন

Friday, July 12, 2024

Do or Die -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

 'জীবন হলো খাটি, করুণ বাস্তবতা,,,,।' কথাটা মনে হয় না কেই অস্বীকার করতে পারবে। জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে এসে এমন বাস্তবার মুখোমুখি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কেননা এই পৃথিবীতে সবাই কিন্তু সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক মহামানবের পরিচয় পাওয়া যাবে, যাদের মাধ্যমে পৃথিবীর পরির্বতন সাধিত। তবে এই পরিবর্তন খুব সহজে হয়েছে তা কিন্তু নয়। পৃথিবীর  প্রতিটা পরিবর্তনের, পৃথিবীর পরিবর্তিত প্রতিটা মানুষের পরিবর্তনের ইতিহাস অনেক বাধা-বিপত্তির ইতিহাস। যে ইতিহাস থেকে আমরা পরিবর্তনকামী মানবকুল শিক্ষা নিয়ে থাকে এবং এর মাধ্যমে আরো ভিন্ন কোন পরিবর্তনের কৌশল রচনা করে থাকি। শুধু কৌশলই নয়, সত্যিকারের নতুন নতুন পরিবর্তন সাধিত করে থাকি। এভাবেই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষ উন্নতির শিখরে পৌছে থাকি। এই পরিবর্তন করতে গিয়ে আমরা যত ধরনের বাধার সম্মুখীন হই তখন কোন ভাবেই ভেঙ্গে পরা যাবে না। ভেঙ্গে পড়লে বেঁচে থাকা যাবে কিন্তু সফল হওয়া যাবে না আর সেখানে সফলতা নেই সে বাঁচার কোন অর্থও থাকতে পারে না, তাই "Do or Die" এই তত্ত্বকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। যাতে বেঁচে থাকলে বিজয়ের উল্লাস করতে করতে জীবন কাটিয়ে দেয়া যাবে নচেৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যাওয়াই শ্রেয় হবে। কেননা কথায় আছে, টিকে থাকাই চরম স্বার্থকতা নয়। তাই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে পৃথিবীর মাঝে বিচরণ করতে হবে আমাদের সকলকে। এইটা হোক আমাদের জীবনের প্রত্যয়।
 
 Do or Die

Thursday, November 16, 2023

অহংকার পতনের মূল -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

মানুষের অহঙ্কার কখনই চিরস্থায়ী নয় । সেরকম একটা ঘটনা দেখলে বুঝতে পারবেন। এক যুবক নতুন বিয়ে করল। বিয়ের প্রথম দিনই স্বামী স্ত্রী যখন খেতে বসল। এমন সময় এক ভিক্ষুক হাজির হল। ভিক্ষুকটি খুব ক্ষুধার্ত ছিল এবং কিছু খাবার চাইল। স্বামী খুব রাগান্বিত হলো এবং ভিক্ষুকটিকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও অপমান করে তাড়িয়ে দিল।
অসহায় ভিক্ষুক চলে গেল। কিছুদিন পর স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হল। এক পর্যায়ে তাদের সংসার ভেঙ্গে গেল। স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেল।
 
কয়েক বছর পর মেয়ের বাবা অন্য এক জায়গায় মেয়ের বিয়ে দিল। নতুন স্বামীর সাথে শুরু হল তার জীবন। মেয়েটির দ্বিতীয় স্বামী প্রথমটির চেয়ে অনেক ধনী ছিল।
 
একদিন স্বামী স্ত্রী খেতে বসল। ইতিমধ্যে একজন ভিক্ষুক আসল। স্বামী স্ত্রীকে বলল ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিয়ে আসো আমরা এখন হয় পরে খেতে পাবো কিন্তু সে পাবে কোথায়? যখন স্ত্রী ভিক্ষা দিতে গেল তখন সে অবাক হয়ে গেল!
কারণ ভিক্ষুকটি ছিল তার প্রথম স্বামী। মেয়েটি চোখের পানি রাখতে পারল না। মেয়েটি তার দ্বিতীয় স্বামীকে বলল আমি আপনাকে এক আশ্চর্য ঘটনা শুনাবো। তারপর মেয়েটি তার প্রথম স্বামীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বলে দিল।
তখন দ্বিতীয় স্বামী চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলল আমি তোমাকে এর চাইতেও আশ্চর্য ঘটনা শুনাবো। তুমি হয়ত শুনে অবাক হবে যে, ঐ দিন তোমরা যে অসহায় ভিক্ষুককে তাড়িয়ে দিয়েছিলে সেই অসহায় লোকটি আমি। যিনি আজ তোমার ধনী স্বামী।
 
উপদেশ: গরীব মুহূর্তের মধ্যেই ধনী এবং ধনী মুহূর্তের মধ্যেই গরিব হতে পারে। তাই কখনো বাড়ি-গাড়ি,টাকা- কড়ি নিয়ে অহংকার করা উচিত নয়। কারণ অহংকার পতনের মূল।
আল্লাহ না করুন এই রকম খারাপ কাজ যেন আমাদের দ্বারা না হয় আমরা না খেয়ে যেন মানুষ কে খাওয়াতে পারি সেই তৌফিক দান কর।
 
 

অহংকার পতনের মূল 

Tuesday, June 13, 2023

ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং কিছু কথা -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসাবে আমি বরাবরই ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাকে শিক্ষা দিয়েছে কিভাবে নিজে টিকে থাকার পথ তৈরী করে নিতে হয়, কিভাবে ব্যক্তি জীবনে ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় প্রভৃতি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরু সক্রেটিসের সেই বাণী, "নিজেকে জানো" এবং "সদ্ব গুনই জ্ঞান" বুকে ধরে অবিরত চেষ্টা চলছে নিজেকে জানার, নিজের ভালো গুনগুলো খুঁজে বের করা আর খারাপ দিকগুলো খুঁজে তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টায় কাটছে সময়। নিজেকে জানার এই চেষ্টা করতে গিয়েই ব্যক্তি স্বাধীনতা, অন্যের মতামতকে সর্বাগ্রে বিবেচনা করা, অন্যের সুবিধার্থে নিজের মতকে দূরে সরিয়ে রাখা, ভিন্ন মতে সহনশীল হওয়ার মতো অনেক বিষয়কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হচ্ছে আর এগুলো করতে গিয়ে কর্মময় জীবনের এই স্বল্প সময়েই অনেক ছোট ছোট ভালো এবং মন্দ অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ করতেছি। বর্তমান এই সমাজে আপনি যদি বিনয়ী হন তবে আপনি হলেন দুর্বল, আপনি যদি সত্যবাদী হন তবে আপনি হলেন পাগল, আপনি যদি অন্যের মতকে গুরুত্ব দেন তবে আপনি হলেন বোকা, এমনই হলো বর্তমান বাস্তবতা। যেখানে সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা, কর্তব্য পরায়নতা, স্পষ্টভাষীদের কোন ধরনের মূল্যায়ণ নেই, যদিওবা মূল্যায়ণ করা হয় সেই সময়ে আর সেই ব্যক্তির এই সমাজে কিছুই দেয়ার থাকে না। নিজেকে জানার এই চেষ্টা থেকে আরো যেটা বুঝতে পারতেছি, বর্তমান সময়ে যে যতো চাটুকর সে ততোই ভালো, যে যতো বেশী বাচাল সে ততো বেশী জ্ঞানী, যে যতো ভালো কল্পনা বিলাসী সে ততো সুখের সন্ধানী, যে যতো বেশী চালাক বা ধূর্ত সেই ততো বেশী ভালো। কবির সেই কথার মতোই, "অদ্ভুত উষ্টের পিঠে চলছে স্বদেশ।" ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়ে, অন্যের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে, অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর মাধ্যমে নিজেকে জানার এই প্রচেষ্টায় কি হবে জানিনা, তবে আমার বিশ্বাস একটা সময় আসবে যেদিন মানুষজন বাস্তবতায় বিশ্বাসী হবে, সত্যকে বুঝতে পারবে, মানুষ হিসাবে মানুষের মূল্যায়ণ করবে, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হবে। এই সমাজ সংসারের মানুষগুলো সফলতা পাক, নিজেকে জানতে পারুক, অন্যের ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করুক সাথে সাথে নিজের ইচ্ছাগুলোর পরিপূরণ বাস্তবায়ন করুক। তবেই এই বিশ্ব সংসারে শান্তির সুবাতাস বইবে, সকল ধরনের হিংসা, কলহ, বিবাদ কিংবা মন মলিণ্য থেকে সবাই মুক্তি পাবে। আমরা কেউই সেই প্রাচীন যুগের কল্পনার রাজ্যে বাস না করি, কেননা কল্পনায় হাজারো সুখের রাজ্য তৈরি করা গেলেও বাস্তব জীবনে সুখের রাজ্য তৈরি করতে গেলে কল্পনা বিলাসী হয়ে বাস্তবতা ভুলে গেলে চলবে না। কল্পনার রাজ্যে সুখের পরিমাপ করা চলে বাস্তব জীবনে এটা বড়ই আপেক্ষিক। যাই হোক জীবনতো একটাই, এ জীবনে সবাই ভালো থাকি আর তার জন্যে যা যা প্রয়োজন তাই করি, কেননা সবার মত এক না এবং সবার চিন্তাও এক না আর আমার চিন্তার মতো-তো না-ই। আমি আমার মনের খেয়ালেই যা খুশি লেখি, কারো ভালো লাগলেও লেখি আর কারো ভালো না লাগলেও না লিখে থাকি না, কেননা আমার মূলমন্ত্র হলো ব্যক্তি স্বাধীনতা আর নিজেকে জানার প্রচেষ্টা।

_________________________

ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং কিছু কথা 
২৫/০৩/২০১৭
রামনগর, বরিশাল।

Saturday, April 15, 2023

আত্মবিশ্বাসই শক্তি, আত্মবিশ্বাসেই মুক্তি -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

"বিশ্বাস ও দৃঢ় ইচ্ছার সম্মুখে অসম্ভব সম্ভব হয়ে পড়ে। তোমার সাধনায় যদি তুমি জয়ী হতে চাও, তবে সমস্ত মন তোমার কর্মে ঢেলে দাও- প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করো, তুমি কৃতকার্য হবে।" কথাগুলো আমার নয়, এ কথাগুলো বলেছিলেন ডা. লুৎফর রহমান তার 'উন্নত জীবন' প্রবন্ধ গ্রন্থে। তার এই লেখাটা পড়তে গিয়েই আপন মনে কিছু কথার সৃষ্টি হলো যা বলতেই এই ক্ষুদ্র চেষ্টা মাত্র। 

"বিশ্বাস" খুব ছোট একটা শব্দ, কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক বেশি এবং এর ধরনও ভিন্ন ভিন্ন আছে। সাধারনের প্রতি বিশ্বাস এক কথা আর নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস ভিন্ন কথা। সর্বসাধারনের প্রতি বিশ্বাস এক একটা সম্পর্কের সৃষ্টি করে এবং এ সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে আর নিজের প্রতি বিশ্বাস হলো নিজের টিকে থাকার, সফলতার একমাত্র চাবিকাঠি। নিজের প্রতি নিজের এই বিশ্বাসকেই বলে আত্মবিশ্বাস। এই আত্মবিশ্বাসের কারনেই টিকে আছে মানব সম্প্রদায়। প্রতিটা মানুষের মনেই এই বিশ্বাসের অস্তিত্ব বিদ্যমান আছে বলেই আমি মনে করি তবে কার আত্মবিশ্বাস কতোটুকু এটা নিয়ে একটু হলেও সংশয় থাকতে পারে। কেননা সবার আত্মবিশ্বাস যদি সমান হতো তবে পৃথিবীতে এতো সমস্যা থাকতো না। সবাই নিজ নিজ গুনে সকল সমস্যার সমাধান করে ফেলত অতি সহজেই। কিন্তু তা যখন হচ্ছে না তখন বলতেই হয় সবার আত্মবিশ্বাস সমান নয়। 

পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে সকল মহামানব এসেছেন এবং তার কর্মের দ্বারা আমাদের মাঝে চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছেন তাদের জীবনী একটু জানার চেষ্টা করলেই দেখতে পাবো তারা কত শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে তাদের সফলতা ছিনিয়ে এনেছেন।আত্মবিশ্বাস ছাড়া সফলতা লাভ করা যায় না, আত্মবিশ্বাসহীন মানুষ কখনোই সফলতার দেখা পায় না। আত্মবিশ্বাস ও ইচ্ছা শক্তির দ্বারাই জগতে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব। এই আত্মবিশ্বাসের সাথে সাথে মনে অনেক বড় স্বপ্ন ও চাওয়া থাকা জরুরী।

সেই দাদা-নাতির গল্পের নাতির ইচ্ছা বা চাওয়া 'বড় হয়ে চৌকিদার' হওয়ার মতো হয় তবে কিন্তু হবে না। কেননা গল্পে দাদা বড় হয়ে দারোগা হতে চেয়েছিল কিন্তু তা না হতে পেরে শেষে চৌকিদার হয়েছে আর নাতি চাচ্ছেই চৌকিদার হতে, সে আর কি হতে পারবে তা বুঝতেই পারছেন। তাই জীবনে ভালো কিছু করতে হলে প্রতিটি মানুষকে বিশ্বাসী, আত্মবিশ্বাসী এবং বড় স্বপ্ন ও ইচ্ছা শক্তির অধিকারি হতে হবে, তবেই জীবনে বড় ধরনের সফলতা আসবে। কোন এক ছাত্র পরীক্ষার আগে জ্বরে পরলো কিন্তু মনোবল না হারিয়ে পড়া শুরু করল এবং কিছুক্ষণ পরেই দেখলো তার আর জ্বর নেই। এই যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রবল ইচ্ছা শক্তি দিয়ে কাজ শুরু করার কারনেই সে জ্বর থেকে মুক্তি পেয়েছিল, তেমনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে সাহসের সাথে কাজ শুরু করি তবে সফলতার দেখা অবশ্যই পাবো। কেননা আত্মবিশ্বাসই শক্তি, আত্মবিশ্বাসেই মুক্তি।।

 

আত্মবিশ্বাসই শক্তি, আত্মবিশ্বাসেই মুক্তি

Monday, November 14, 2022

জীবনের হিসাব -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

 ''হিসাব'' খুব ছোট একটা শব্দ, কিন্তু জীবন চলার পথে এর গুরুত্ব যে কতো বেশি তা একবার চিন্তা করলেই সবাই বুঝতে পারি তবে এই বুঝতে পারাটা অনেক সময় দেরি হয়ে যায়, যার কারনে আর জীবনের হিসাব অনেক সময় মিলানো যায় না। সুকুমার রায় এর জীবনের হিসাব কবিতাটা সবারই পড়া আছে এটা থেকে আমরা এতোটুকু শিখতে পারি যে একাডেমিক শিক্ষাই আসল শিক্ষা নয়। জীবনের জটিল হিসাব মেলাতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে অনেক শিক্ষা আছে যা আমরা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে পেতে পারি। আর এই শিক্ষাটা নিতে পারলে জীবনের সব জটিল হিসাব সহজেই মিলে যাবে। এছাড়াও সঠিক হিসাব মেনে চলতে পারলে জীবনে খুব সহজেই সুখী হওয়া যায়, সফলতা অর্জন করা। এই হিসাবই ভালো বা খারাপ রাখতে পারে।

 

জীবনের হিসাব

 -- মোঃ হেলাল উদ্দিন