ক্রোধ বা রাগ মানুষের জন্য বহু অনিষ্টের কারণ
Sunday, September 15, 2024
ক্রোধ বা রাগ মানুষের জন্য বহু অনিষ্টের কারণ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন
Friday, July 12, 2024
Do or Die -- মোঃ হেলাল উদ্দিন
Thursday, November 16, 2023
অহংকার পতনের মূল -- মোঃ হেলাল উদ্দিন
Tuesday, June 13, 2023
ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং কিছু কথা -- মোঃ হেলাল উদ্দিন
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসাবে আমি বরাবরই ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাকে শিক্ষা দিয়েছে কিভাবে নিজে টিকে থাকার পথ তৈরী করে নিতে হয়, কিভাবে ব্যক্তি জীবনে ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় প্রভৃতি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরু সক্রেটিসের সেই বাণী, "নিজেকে জানো" এবং "সদ্ব গুনই জ্ঞান" বুকে ধরে অবিরত চেষ্টা চলছে নিজেকে জানার, নিজের ভালো গুনগুলো খুঁজে বের করা আর খারাপ দিকগুলো খুঁজে তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টায় কাটছে সময়। নিজেকে জানার এই চেষ্টা করতে গিয়েই ব্যক্তি স্বাধীনতা, অন্যের মতামতকে সর্বাগ্রে বিবেচনা করা, অন্যের সুবিধার্থে নিজের মতকে দূরে সরিয়ে রাখা, ভিন্ন মতে সহনশীল হওয়ার মতো অনেক বিষয়কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হচ্ছে আর এগুলো করতে গিয়ে কর্মময় জীবনের এই স্বল্প সময়েই অনেক ছোট ছোট ভালো এবং মন্দ অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ করতেছি। বর্তমান এই সমাজে আপনি যদি বিনয়ী হন তবে আপনি হলেন দুর্বল, আপনি যদি সত্যবাদী হন তবে আপনি হলেন পাগল, আপনি যদি অন্যের মতকে গুরুত্ব দেন তবে আপনি হলেন বোকা, এমনই হলো বর্তমান বাস্তবতা। যেখানে সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা, কর্তব্য পরায়নতা, স্পষ্টভাষীদের কোন ধরনের মূল্যায়ণ নেই, যদিওবা মূল্যায়ণ করা হয় সেই সময়ে আর সেই ব্যক্তির এই সমাজে কিছুই দেয়ার থাকে না। নিজেকে জানার এই চেষ্টা থেকে আরো যেটা বুঝতে পারতেছি, বর্তমান সময়ে যে যতো চাটুকর সে ততোই ভালো, যে যতো বেশী বাচাল সে ততো বেশী জ্ঞানী, যে যতো ভালো কল্পনা বিলাসী সে ততো সুখের সন্ধানী, যে যতো বেশী চালাক বা ধূর্ত সেই ততো বেশী ভালো। কবির সেই কথার মতোই, "অদ্ভুত উষ্টের পিঠে চলছে স্বদেশ।" ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়ে, অন্যের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে, অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর মাধ্যমে নিজেকে জানার এই প্রচেষ্টায় কি হবে জানিনা, তবে আমার বিশ্বাস একটা সময় আসবে যেদিন মানুষজন বাস্তবতায় বিশ্বাসী হবে, সত্যকে বুঝতে পারবে, মানুষ হিসাবে মানুষের মূল্যায়ণ করবে, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হবে। এই সমাজ সংসারের মানুষগুলো সফলতা পাক, নিজেকে জানতে পারুক, অন্যের ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করুক সাথে সাথে নিজের ইচ্ছাগুলোর পরিপূরণ বাস্তবায়ন করুক। তবেই এই বিশ্ব সংসারে শান্তির সুবাতাস বইবে, সকল ধরনের হিংসা, কলহ, বিবাদ কিংবা মন মলিণ্য থেকে সবাই মুক্তি পাবে। আমরা কেউই সেই প্রাচীন যুগের কল্পনার রাজ্যে বাস না করি, কেননা কল্পনায় হাজারো সুখের রাজ্য তৈরি করা গেলেও বাস্তব জীবনে সুখের রাজ্য তৈরি করতে গেলে কল্পনা বিলাসী হয়ে বাস্তবতা ভুলে গেলে চলবে না। কল্পনার রাজ্যে সুখের পরিমাপ করা চলে বাস্তব জীবনে এটা বড়ই আপেক্ষিক। যাই হোক জীবনতো একটাই, এ জীবনে সবাই ভালো থাকি আর তার জন্যে যা যা প্রয়োজন তাই করি, কেননা সবার মত এক না এবং সবার চিন্তাও এক না আর আমার চিন্তার মতো-তো না-ই। আমি আমার মনের খেয়ালেই যা খুশি লেখি, কারো ভালো লাগলেও লেখি আর কারো ভালো না লাগলেও না লিখে থাকি না, কেননা আমার মূলমন্ত্র হলো ব্যক্তি স্বাধীনতা আর নিজেকে জানার প্রচেষ্টা।
_________________________
Saturday, April 15, 2023
আত্মবিশ্বাসই শক্তি, আত্মবিশ্বাসেই মুক্তি -- মোঃ হেলাল উদ্দিন
"বিশ্বাস ও দৃঢ় ইচ্ছার সম্মুখে অসম্ভব সম্ভব হয়ে পড়ে। তোমার সাধনায় যদি তুমি জয়ী হতে চাও, তবে সমস্ত মন তোমার কর্মে ঢেলে দাও- প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করো, তুমি কৃতকার্য হবে।" কথাগুলো আমার নয়, এ কথাগুলো বলেছিলেন ডা. লুৎফর রহমান তার 'উন্নত জীবন' প্রবন্ধ গ্রন্থে। তার এই লেখাটা পড়তে গিয়েই আপন মনে কিছু কথার সৃষ্টি হলো যা বলতেই এই ক্ষুদ্র চেষ্টা মাত্র।
"বিশ্বাস" খুব ছোট একটা শব্দ, কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক বেশি এবং এর ধরনও ভিন্ন ভিন্ন আছে। সাধারনের প্রতি বিশ্বাস এক কথা আর নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস ভিন্ন কথা। সর্বসাধারনের প্রতি বিশ্বাস এক একটা সম্পর্কের সৃষ্টি করে এবং এ সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে আর নিজের প্রতি বিশ্বাস হলো নিজের টিকে থাকার, সফলতার একমাত্র চাবিকাঠি। নিজের প্রতি নিজের এই বিশ্বাসকেই বলে আত্মবিশ্বাস। এই আত্মবিশ্বাসের কারনেই টিকে আছে মানব সম্প্রদায়। প্রতিটা মানুষের মনেই এই বিশ্বাসের অস্তিত্ব বিদ্যমান আছে বলেই আমি মনে করি তবে কার আত্মবিশ্বাস কতোটুকু এটা নিয়ে একটু হলেও সংশয় থাকতে পারে। কেননা সবার আত্মবিশ্বাস যদি সমান হতো তবে পৃথিবীতে এতো সমস্যা থাকতো না। সবাই নিজ নিজ গুনে সকল সমস্যার সমাধান করে ফেলত অতি সহজেই। কিন্তু তা যখন হচ্ছে না তখন বলতেই হয় সবার আত্মবিশ্বাস সমান নয়।
পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে সকল মহামানব এসেছেন এবং তার কর্মের দ্বারা আমাদের মাঝে চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছেন তাদের জীবনী একটু জানার চেষ্টা করলেই দেখতে পাবো তারা কত শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে তাদের সফলতা ছিনিয়ে এনেছেন।আত্মবিশ্বাস ছাড়া সফলতা লাভ করা যায় না, আত্মবিশ্বাসহীন মানুষ কখনোই সফলতার দেখা পায় না। আত্মবিশ্বাস ও ইচ্ছা শক্তির দ্বারাই জগতে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব। এই আত্মবিশ্বাসের সাথে সাথে মনে অনেক বড় স্বপ্ন ও চাওয়া থাকা জরুরী।
সেই দাদা-নাতির গল্পের নাতির ইচ্ছা বা চাওয়া 'বড় হয়ে চৌকিদার' হওয়ার মতো হয় তবে কিন্তু হবে না। কেননা গল্পে দাদা বড় হয়ে দারোগা হতে চেয়েছিল কিন্তু তা না হতে পেরে শেষে চৌকিদার হয়েছে আর নাতি চাচ্ছেই চৌকিদার হতে, সে আর কি হতে পারবে তা বুঝতেই পারছেন। তাই জীবনে ভালো কিছু করতে হলে প্রতিটি মানুষকে বিশ্বাসী, আত্মবিশ্বাসী এবং বড় স্বপ্ন ও ইচ্ছা শক্তির অধিকারি হতে হবে, তবেই জীবনে বড় ধরনের সফলতা আসবে। কোন এক ছাত্র পরীক্ষার আগে জ্বরে পরলো কিন্তু মনোবল না হারিয়ে পড়া শুরু করল এবং কিছুক্ষণ পরেই দেখলো তার আর জ্বর নেই। এই যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রবল ইচ্ছা শক্তি দিয়ে কাজ শুরু করার কারনেই সে জ্বর থেকে মুক্তি পেয়েছিল, তেমনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে সাহসের সাথে কাজ শুরু করি তবে সফলতার দেখা অবশ্যই পাবো। কেননা আত্মবিশ্বাসই শক্তি, আত্মবিশ্বাসেই মুক্তি।।
Monday, November 14, 2022
জীবনের হিসাব -- মোঃ হেলাল উদ্দিন
''হিসাব'' খুব ছোট একটা শব্দ, কিন্তু জীবন চলার পথে এর গুরুত্ব যে কতো বেশি তা একবার চিন্তা করলেই সবাই বুঝতে পারি তবে এই বুঝতে পারাটা অনেক সময় দেরি হয়ে যায়, যার কারনে আর জীবনের হিসাব অনেক সময় মিলানো যায় না। সুকুমার রায় এর জীবনের হিসাব কবিতাটা সবারই পড়া আছে এটা থেকে আমরা এতোটুকু শিখতে পারি যে একাডেমিক শিক্ষাই আসল শিক্ষা নয়। জীবনের জটিল হিসাব মেলাতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে অনেক শিক্ষা আছে যা আমরা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে পেতে পারি। আর এই শিক্ষাটা নিতে পারলে জীবনের সব জটিল হিসাব সহজেই মিলে যাবে। এছাড়াও সঠিক হিসাব মেনে চলতে পারলে জীবনে খুব সহজেই সুখী হওয়া যায়, সফলতা অর্জন করা। এই হিসাবই ভালো বা খারাপ রাখতে পারে।
জীবনের হিসাব