Showing posts with label সংবিধানের সহজপাঠ. Show all posts
Showing posts with label সংবিধানের সহজপাঠ. Show all posts

Monday, November 18, 2024

এক নজরে বাংলাদেশ সংবিধানের সংশোধনীসমূহ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

প্রত্যেক দেশের সংবিধানে এর সংশোধনের বিধান থাকে। বাংলাদেম সংবিধানও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করার বিধান রেখেছে। সময়ের চাহিদা এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে কার্যকর হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। সংক্ষেপে সংশোধনীসমূহ আলোচনা করা হলো-
 
প্রথম সংশোধনী: সংবিধানের প্রথম সংশোধনী পাশ হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই। এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৭ অনুচ্ছেদে দুটি নতুন উপধারা সংযোজন করা হয়। এ সংশোধনীর মূল কারণ ছিল গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য আইন তৈরি এবং তা কার্যকর করা। সংবিধান (প্রথম সংশোধনী) আইন ১৯৭৩ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন ১২ই জুলাই, ১৯৭৩ সালে।

দ্বিতীয় সংশোধনী: সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী পাশ হয় ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এতে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৬, ৬৩, ৭২ ও ১৪২ এ সংশোধন আনা হয়। নিবর্তনমূলক আটক, জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও এ সময় মৌলিক অধিকারগুলো স্থগিতকরণ সম্পর্কে প্রথমদিকে সংবিধানে কোনো বিধান ছিল না। এ সংশোধনীর মাধ্যমে বিধানগুলো সংযোজন করা হয়। সংবিধান (দ্বিতীয় সংশোধনী) আইন ১৯৭৩ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ সালে।

তৃতীয় সংশোধনী: সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনী পাশ হয় ১৯৭৪ সালের ২৩ নভেম্বর। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন এবং চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় বিধান করার জন্য এ সংশোধনী আনা হয়। সংবিধান (তৃতীয় সংশোধনী) আইন ১৯৭৪ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর ২১শে নভেম্বর, ১৯৭৪ সালে।

চতুর্থ সংশোধনী: সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাশ হয় ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতি পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা; একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা; রাষ্ট্রপতি ও সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রপতি অপসারণ পদ্ধতি জটিল করা; মৌলিক অধিকার বলবৎ করার অধিকার বাতিল করা; উপ-রাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টি করা এবং বাকশাল গঠন করা হয়। সংবিধান (চতুর্থ সংশোধনী) আইন ১৯৭৫ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর ২৫শে জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে।

পঞ্চম সংশোধনী: সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী পাশ হয় ১৯৭৯ সালের ৫ এপ্রিল। পঞ্চম সংশোধনী সংবিধানে কোনো বিধান সংশোধন করেনি। এ সংশোধনী ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে সামরিক শাসন জারির পর থেকে ৬ এপ্রিল ১৯৭৯ পর্যন্ত সামরিক সরকারের যাবতীয় আদেশ, ঘোষণা ও দন্ডাদেশ বৈধ বলে অনুমোদন করে নেওয়া হয়। সংবিধান (পঞ্চম সংশোধনী) আইন ১৯৭৯ উপস্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান ৪ এপ্রিল ১৯৭৯ সালে। ২০১০ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে এ সংশোধনীটি উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়।

ষষ্ঠ সংশোধনী: সংবিধানের ষষ্ঠ সংশোধনী পাশ হয় ১৯৮১ সালের ৮ জুলাই। ষষ্ঠ সংশোধনী কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণে করা হয়নি। এ সংশোধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিতকরণ করা হয়। এ সংশোধনীতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী পদকে প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদ বলে গণ্য করা হবে না। সংবিধান (ষষ্ঠ সংশোধনী) আইন ১৯৮১ উপস্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান ১ জুলাই ১৯৮১ সালে।

সপ্তম সংশোধনী: সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী পাশ হয় ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন বহাল ছিল। তাই এ সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক শাসনামলে জারি করা সব আদেশ, আইন ও নির্দেশকে বৈধতা দেওয়া হয় এবং আদালতে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন না করার বিধান করা হয়। এছাড়াও এ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করা হয়। সংবিধান (সপ্তম সংশোধনী) আইন ১৯৮৬ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বিচারপতি কে এম নুরুল ইসলাম ১০ নভেম্বর ১৯৮৬ সালে। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট এ সংশোধনী আদালতে কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত হয়।

অষ্টম সংশোধনী: সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী পাশ হয় ১৯৮৮ সালের ৯ জুন। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২, ৩, ৫, ৩০ ও ১০০ এ পরিবর্তন আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতিদান, ঢাকার বাইরে হাই কোর্ট বিভাগের ৬টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন, উধপপধ-এর নাম উযধশধ এবং ইধহমধষর-এর নাম ইধহমষধ-তে পরিবর্তন করা হয়। সংবিধান (অষ্টম সংশোধনী) আইন ১৯৮৮ উপস্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১১ই মে ১৯৮৮ সালে। তবে হাই কোর্টের বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করে।

নবম সংশোধনী:
সংবিধানের নবম সংশোধনী পাশ হয় ১৯৮৯ সালের ১০ জুলাই। এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সাথে একই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, রাষ্ট্রপতি পদে কোন ব্যক্তিকে পর পর দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ রাখার বিধান সংযোজন করা হয়। সংবিধান (নবম সংশোধনী) আইন ১৯৮৯ উপস্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ৬ জুলাই ১৯৮৯ সালে।

দশম সংশোধনী: সংবিধানের দশম সংশোধনী পাস হয় ১৯৯০ সালের ১২ জুন। এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩(২) অনুচ্ছেদের বাংলা ভাষ্য সংশোধন ও সংসদে মহিলাদের ৩০টি আসন আরো ১০ বছরকালের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। সংবিধান (দশম সংশোধনী) আইন ১৯৯০ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইন ও বিচারমন্ত্রী হাবিবুল ইসলাম ১০ জুন ১৯৯০ সালে।

একাদশ সংশোধনী: সংবিধানের একাদশ সংশোধনী পাস হয় ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের স্বপদে ফিরে যাবার বিধান করা হয়। এতে আরো বলা হয়, নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করতে পারবেন এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার কর্মকাল বিচারপতি হিসেবে হিসেবে গণ্য হবে। সংবিধান (একাদশ সংশোধনী) আইন ১৯৯১ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইন ও বিচারমন্ত্রী মীর্জা গোলাম হাফিজ ২ জুলাই ১৯৯১ সালে।

দ্বাদশ সংশোধনী: সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী পাস হয় ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট। এ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭ বছর পর দেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত করা হয়। সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধনী) আইন ১৯৯১ উপস্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২রা জুলাই ১৯৯১ সালে।

ত্রয়োদশ সংশোধনী: সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস হয় ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ-নিদর্লীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধনী) আইন ১৯৯৬ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ২১ মার্চ ১৯৯৬ সালে।

চতুর্দশ সংশোধনী: সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী পাস হয় ২০০৪ সালের ১৬ মে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩০ থেকে ৪৫ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছর করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং সরকারি ও আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি বা ছবি প্রদর্শনের বিধান করা হয়। সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধনী) আইন ২০০৪ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২৭ মার্চ ২০০৪, দ্বিতীয়বার ২৮ এপ্রিল ২০০৪ সালে।

পঞ্চদশ সংশোধনী: সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন, ১৯৭২-এর মূলনীতি পূনর্বহাল, তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণ, ১/১১ পরবর্তী দ্বিতীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকার নিয়ম বহির্ভুতভাবে ৯০ দিনের অধিক ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি প্রমার্জ্জনা, নারীদের জন্য সংসদে ৫০ টি সংসদীয় আসন সংরক্ষণ, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ বিবেচনায় সর্বোচ্চ দন্ডের বিধান রাখা ইত্যাদি যুক্ত করা হয়। সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ ২৫শে জুন ২০১১ সালে।

ষোড়শ সংশোধনী: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন পাস হয় ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। এ সংশোধনীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আইন প্রণেতাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করা হয়। সংবিধান (ষোড়শ সংশোধনী) আইন ২০১৪ উপস্থাপন করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে।

সপ্তদশ সংশোধনী: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন পাস হয় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের বিধি আরও ২৫ বছর বহাল রাখা হয়। সংবিধান (ষোড়শ সংশোধনী) আইন ২০১৮ উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ৮ জুলাই ২০১৮ সালে।

 


এক নজরে বাংলাদেশ সংবিধানের সংশোধনীসমূহ 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন

Monday, May 6, 2024

এক নজরে বাংলাদেশের সংবিধান -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

প্রস্তাবনা

প্রথম ভাগ - প্রজাতন্ত্র (অনুচ্ছেদ ০১-০৭)

অনুচ্ছেদ- ১            প্রজাতন্ত্র
অনুচ্ছেদ- ২            প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা
অনুচ্ছেদ- ২ক         রাষ্ট্রধর্ম
অনুচ্ছেদ- ৩            রাষ্ট্রভাষা
অনুচ্ছেদ- ৪            জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
অনুচ্ছেদ- ৪ক         জাতির পিতার প্রতিকৃতি
অনুচ্ছেদ- ৫            রাজধানী
অনুচ্ছেদ- ৬            নাগরিকত্ব
অনুচ্ছেদ- ৭            সংবিধানের প্রাধান্য
অনুচ্ছেদ- ৭ক         সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ
অনুচ্ছেদ- ৭খ        সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য

দ্বিতীয় ভাগ- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি (অনুচ্ছেদ: ০৮-২৫)

অনুচ্ছেদ- ৮          মূলনীতিসমূহ
অনুচ্ছেদ- ৯          জাতীয়তাবাদ
অনুচ্ছেদ- ১০        সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
অনুচ্ছেদ- ১১        গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
অনুচ্ছেদ- ১২        ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ১৩        মালিকানার নীতি
অনুচ্ছেদ- ১৪        কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
অনুচ্ছেদ- ১৫        মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
অনুচ্ছেদ- ১৬        গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
অনুচ্ছেদ- ১৭        অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
অনুচ্ছেদ- ১৮        জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
অনুচ্ছেদ- ১৮ক     পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন
অনুচ্ছেদ- ১৯        সুযোগের সমতা
অনুচ্ছেদ- ২০        অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম
অনুচ্ছেদ- ২১        নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য
অনুচ্ছেদ- ২২        নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ
অনুচ্ছেদ- ২৩        জাতীয় সংস্কৃতি
অনুচ্ছেদ- ২৩ক     উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সস্প্রদায়ের সংস্কৃতি
অনুচ্ছেদ- ২৪       জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ২৫       আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন

তৃতীয় ভাগ- মৌলিক অধিকার (অনুচ্ছেদ: ২৬-৪৭)

অনুচ্ছেদ- ২৬    মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল
অনুচ্ছেদ- ২৭    আইনের দৃষ্টিতে সমতা
অনুচ্ছেদ- ২৮    ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য
অনুচ্ছেদ- ২৯    সরকারী নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা
অনুচ্ছেদ- ৩০    বিদেশী, খেতাব, প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ
অনুচ্ছেদ- ৩১    আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৩২    জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ
অনুচ্ছেদ- ৩৩    গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ
অনুচ্ছেদ- ৩৪    জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ
অনুচ্ছেদ- ৩৫    বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ
অনুচ্ছেদ- ৩৬    চলাফেরার স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৩৭    সমাবেশের স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৩৮    সংগঠনের স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৩৯    চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৪০    পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৪১    ধর্মীয় স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৪২    সম্পত্তির অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৪৩    গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ
অনুচ্ছেদ- ৪৪    মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ
অনুচ্ছেদ- ৪৫    শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন
অনুচ্ছেদ- ৪৬    দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ৪৭    কতিপয় আইনের হেফাজত
অনুচ্ছেদ- ৪৭ক    সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা

চতুর্থ ভাগ- নির্বাহী বিভাগ (অনুচ্ছেদ: ৪৮-৬৪)

১ম পরিচ্ছেদ - রাষ্ট্রপতি

অনুচ্ছেদ- ৪৮    রাষ্ট্রপতি
অনুচ্ছেদ- ৪৯    ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৫০    রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৫১    রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
অনুচ্ছেদ- ৫২    রাষ্ট্রপতির অভিশংসন
অনুচ্ছেদ- ৫৩    অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
অনুচ্ছেদ- ৫৪    অনুপস্থিতি প্রভৃতির-কালে রাষ্ট্রপতি-পদে স্পীকার

২য় পরিচ্ছেদ - প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা

অনুচ্ছেদ- ৫৫    মন্ত্রিসভা
অনুচ্ছেদ- ৫৬    মন্ত্রিগণ
অনুচ্ছেদ- ৫৭    প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৫৮    অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৫৮ক    [বিলুপ্ত]

২ক পরিচ্ছেদ - বিলুপ্ত

৩য় পরিচ্ছেদ - স্থানীয় শাসন

অনুচ্ছেদ- ৫৯    স্থানীয় শাসন
অনুচ্ছেদ- ৬০    স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা

৪র্থ পরিচ্ছেদ - প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ

অনুচ্ছেদ- ৬১    সর্বাধিনায়কতা
অনুচ্ছেদ- ৬২    প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ৬৩    যুদ্ধ

৫ম পরিচ্ছেদ - অ্যাটর্ণি -জেনারেল

অনুচ্ছেদ- ৬৪    অ্যাটর্ণি-জেনারেল

পঞ্চম ভাগ- আইনসভা (অনুচ্ছেদ: ৬৫-৯৩)

১ম পরিচ্ছেদ - সংসদ

অনুচ্ছেদ- ৬৫    সংসদ-প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ৬৬    সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা
অনুচ্ছেদ- ৬৭    সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া
অনুচ্ছেদ- ৬৮    সংসদ-সদস্যদের [পারিশ্রমিক] প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ৬৯    শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদন্ড
অনুচ্ছেদ- ৭০    রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া
অনুচ্ছেদ- ৭১    দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা
অনুচ্ছেদ- ৭২    সংসদের অধিবেশন
অনুচ্ছেদ- ৭৩    সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
অনুচ্ছেদ- ৭৩ক    সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৭৪    স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার
অনুচ্ছেদ- ৭৫    কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ৭৬    সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
অনুচ্ছেদ- ৭৭    ন্যায়পাল
অনুচ্ছেদ- ৭৮    সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি
অনুচ্ছেদ- ৭৯    সংসদ-সচিবালয়

২য় পরিচ্ছেদ - আইন প্রনয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি

অনুচ্ছেদ- ৮০    আইন প্রণয়ন পদ্ধতি
অনুচ্ছেদ- ৮১    অর্থবিল
অনুচ্ছেদ- ৮২    আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ
অনুচ্ছেদ- ৮৩    সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা
অনুচ্ছেদ- ৮৪    সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাব
অনুচ্ছেদ- ৮৫    সরকারী অর্থের নিয়ন্ত্রণ
অনুচ্ছেদ- ৮৬    প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাবে প্রদেয় অর্থ
অনুচ্ছেদ- ৮৭    বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি
অনুচ্ছেদ- ৮৮    সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়
অনুচ্ছেদ- ৮৯    বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি
অনুচ্ছেদ- ৯০    নির্দিষ্টকরণ আইন
অনুচ্ছেদ- ৯১    সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী
অনুচ্ছেদ- ৯২    হিসাব, ঋণ প্রভৃতির উপর ভোট
অনুচ্ছেদ- ৯২ক    [বিলুপ্ত]

৩য় পরিচ্ছেদ - অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা

অনুচ্ছেদ- ৯৩    অধ্যাদেশ প্রণয়ন-ক্ষমতা

ষষ্ঠ ভাগ- বিচারবিভাগ (অনুচ্ছেদ: ৯৪-১১৭)

১ম পরিচ্ছেদ - সুপ্রীম কোর্ট

অনুচ্ছেদ- ৯৪    সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ৯৫    বিচারক-নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ৯৬    বিচারকের পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৯৭    অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ৯৮    সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ
অনুচ্ছেদ- ৯৯    অবসর গ্রহণের পর বিচারগণের অক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১০০    সুপ্রীম কোর্টের আসন
অনুচ্ছেদ- ১০১    হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার
অনুচ্ছেদ- ১০২    কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১০৩    আপীল বিভাগের এখতিয়ার
অনুচ্ছেদ- ১০৪    আপীল বিভাগের পরোয়ানা জারী ও নির্বাহ
অনুচ্ছেদ- ১০৫    আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা
অনুচ্ছেদ- ১০৬    সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার
অনুচ্ছেদ- ১০৭    সুপ্রীম কোর্টের বিধি-প্রণয়ন-ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১০৮    "কোর্ট অব রেকর্ড" রূপে সুপ্রীম কোর্ট
অনুচ্ছেদ- ১০৯    আদালতসমূহের উপর তত্ত¡াবধান ও নিয়ন্ত্রণ
অনুচ্ছেদ- ১১০    অধস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর
অনুচ্ছেদ- ১১১    সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা
অনুচ্ছেদ- ১১২    সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা
অনুচ্ছেদ- ১১৩    সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীগণ

২য় পরিচ্ছেদ - অধস্তন আদালত

অনুচ্ছেদ- ১১৪    অধস্তন আদালত-সমূহ প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১১৫    অধস্তন আদালতে নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ১১৬    অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা
অনুচ্ছেদ- ১১৬ক    বিচারবিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন

৩য় পরিচ্ছেদ - প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল

অনুচ্ছেদ- ১১৭    প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালসমূহ

ষষ্ঠ ক ভাগ - জাতীয়দল - বিলুপ্ত

সপ্তম ভাগ- নির্বাচন (অনুচ্ছেদ: ১১৮-১২৬)

অনুচ্ছেদ- ১১৮    নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১১৯    নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব
অনুচ্ছেদ- ১২০    নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীগণ
অনুচ্ছেদ- ১২১    প্রতি এলাকার জন্য একটিমাত্র ভোটার তালিকা
অনুচ্ছেদ- ১২২    ভোটার-তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা
অনুচ্ছেদ- ১২৩    নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময়
অনুচ্ছেদ- ১২৪    নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১২৫    নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা
অনুচ্ছেদ- ১২৬    নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান

অষ্টম ভাগ- মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (অনুচ্ছেদ: ১২৭-১৩২)

অনুচ্ছেদ- ১২৭    মহা হিসাব-নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১২৮    মহা-হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব
অনুচ্ছেদ- ১২৯    মহা হিসাব-নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ১৩০    অস্থায়ী মহা হিসাব-নিরীক্ষক
অনুচ্ছেদ- ১৩১    প্রজাতন্ত্রের হিসাব-রক্ষার আকার ও পদ্ধতি
অনুচ্ছেদ- ১৩২    সংসদে মহা হিসাব-নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন

নবম ভাগ- বাংলাদেশের কর্মবিভাগ (অনুচ্ছেদ: ১৩৩-১৪১)

১ম পরিচ্ছেদ - কর্মবিভাগ

অনুচ্ছেদ- ১৩৩    নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলী
অনুচ্ছেদ- ১৩৪    কর্মের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ১৩৫    অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বরখাস্ত প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ১৩৬    কর্মবিভাগ-পুনর্গঠন

২য় পরিচ্ছেদ - সরকারী কর্ম কমিশন

অনুচ্ছেদ- ১৩৭    কমিশন-প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১৩৮    সদস্য-নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ১৩৯    পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ১৪০    কমিশনের দায়িত্ব
অনুচ্ছেদ- ১৪১    বার্ষিক রিপোর্ট

নবম-ক ভাগ- জরুরী বিধানাবলী

অনুচ্ছেদ- ১৪১ক    জরুরী-অবস্থা ঘোষণা
অনুচ্ছেদ- ১৪১খ    জরুরী-অবস্থার সময় সংবিধানের কতিপয় অনুচ্ছেদের বিধান স্থগিতকরণ
অনুচ্ছেদ- ১৪১গ    জরুরী-অবস্থার সময় মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিতকরণ

দশম ভাগ- সংবিধান-সংশোধন (অনুচ্ছেদ: ১৪২)

অনুচ্ছেদ- ১৪২    সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা

একাদশ ভাগ- বিবিধ (অনুচ্ছেদ: ১৪৩-১৫৩)

অনুচ্ছেদ- ১৪৩    প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি
অনুচ্ছেদ- ১৪৪    সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি-প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব
অনুচ্ছেদ- ১৪৫    চুক্তি ও দলিল
অনুচ্ছেদ- ১৪৫ক    আন্তর্জাতিক চুক্তি
অনুচ্ছেদ- ১৪৬    বাংলাদেশের নামে মামলা
অনুচ্ছেদ- ১৪৭    কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ১৪৮    পদের শপথ
অনুচ্ছেদ- ১৪৯    প্রচলিত আইনের হেফাজত
অনুচ্ছেদ- ১৫০    ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী
অনুচ্ছেদ- ১৫১    রহিতকরণ
অনুচ্ছেদ- ১৫২    ব্যাখ্যা
অনুচ্ছেদ- ১৫৩    প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ

তফসিল (০৭ টি)

প্রথম তফসিল    অন্যান্য বিধান সত্তে¡ও কার্যকর আইন
দ্বিতীয় তফসিল    রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বিলুপ্ত)
তৃতীয় তফসিল    শপথ ও ঘোষণা
চতুর্থ তফসিল    ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলি
পঞ্চম তফসিল    ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া                              ভাষণ
ষষ্ঠ তফসিল     ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্য রাত শেষে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর                         রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা
সপ্তম তফসিল    ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

 


 এক নজরে বাংলাদেশের সংবিধান 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন


বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস -- মোঃ হেলাল উদ্দিন


১৯৭১ সালের বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আবির্ভাব হওয়ার পর সংগত কারণেই একটি সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এসে ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির এক আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থায়ী সাংবিধানিক অধ্যাদেশ জারি করেন।

গণপরিষদ আদেশঃ ২৩ মার্চ, ১৯৭২ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। এ আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ এবং ১৯৭১ সালের নির্বাচন অনুযায়ী জাতীয় পরিষদের ১৬৯ জন এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত ৩০০ জন সর্বমােট ৪৬৯ জন সদস্য নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। এ গণপরিষদের মূল দায়িত্ব ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান প্রণয়ন।

অস্থায়ী সংবিধান আদেশঃ অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশে বলা হয় যে, ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর ও ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত সকল জাতীয় পরিষদ সদস্য ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবেন। এ আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় সরকারের প্রবর্তন করা হয়। গণপরিষদের সদস্যদের উপরই সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ভার অর্পণ করা হয়।

গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭২ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেন। অধিবেশনের প্রথম দিনে গণপরিষদ সদস্যগণ কর্তৃক স্পিকার নির্বাচিত হন শাহ আব্দুল হামিদ ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন জনাব মোহাম্মদ উল্লাহ। ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ১০ জুন, ১৯৭২ উক্ত কমিটি এক বৈঠকে সংবিধানের একটি প্রাথমিক খসড়া অনুমােদন করেন। এ অধিবেশনে ৪১৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠনঃ ১২ এপ্রিল, ১৯৭২ গণপরিষদ খসড়া সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। বাংলাদেশের প্রথম আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন এ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। গণপরিষদে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (মোজাফফর) সদস্য শ্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তই কেবল আওয়ামী লীগের বাহির হতে উক্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। গণপরিষদের ৭ জন মহিলা সদস্যের মধ্যে বেগম রাজিয়া বানু-কে কমিটির সদস্য করা হয়। এ কমিটিকে ১৯৭২ সালের ১০ জুনের মধ্যে একটি বিলের আকারে তাদের রিপাের্ট গণপরিষদে পেশ করতে বলা হয়।

সংবিধান প্রণয়ন কমিটির কার্যক্রমঃ খসড়া সংবিধান কমিটি সর্বমোট ৭৪টি বৈঠকে মিলিত হয়। কমিটির প্রথম বৈঠকের প্রস্তাব অনুযায়ী বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে খসড়া সংবিধান সম্পর্কে প্রস্তাব চাওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জুনের বৈঠকে সংবিধানের একটি প্রাথমিক খসড়া অনুমোদিত হয়। যেহেতু বাংলাদেশ সংবিধানে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে বলে স্থির করা হয়েছিল, সেহেতু একে পূর্ণাঙ্গ ও যথাসম্ভব ফলপ্রসূ করে তোলার লক্ষ্যে কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ভারত ও ব্রিটেন সফর করেন। তিনি উভয় দেশের পার্লামেন্টের কার্যকারিতা প্রত্যক্ষ করেন এবং দেশে ফিরে উক্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। কমিটির সভাপতি ১১ জুন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এবং খসড়া সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ১১ অক্টোবর কমিটি সর্বশেষ আলোচনা করেন এবং ঐ দিন সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ খসড়া চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।

গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনঃ বাংলাদেশ গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসে ১২ অক্টোবর, ১৯৭২। এই অধিবেশনে গণপরিষদ কতিপয় সংশোধনী মতে খসড়া সংবিধান কার্যপ্রণালি সংক্রান্ত বিধিমালা গ্রহণ করেন। গণপরিষদে সাংবিধানিক বিলটির উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘এ সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত।’ সে সাথে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ সংবিধান দেশের সমগ্র জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার মূর্ত প্রতীক বলে বিবেচিত হবে। সংবিধান বিলটি উত্থাপনকালে আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘এ সংবিধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করে। এটা এমন এক সমাজব্যবস্থা যাতে আইনের শাসন, মৌল মানবিক অধিকার এবং স্বাধীনতা, সাম্য ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সকল নাগরিকের জন্য অর্জিত হবে।’

সংবিধান বিধিবদ্ধকরণঃ ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ গণপরিষদ অধিবেশনে মিলিত হয়। ঐ দিন বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় ৭৩ পৃষ্ঠাবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান অধিবেশনে পেশ করেন আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ড. কমাল হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ যে সংবিধান রচনা করেছে, তা বাংলাদেশের জনগণের তাজা রক্তে লেখা হয়েছে।’ আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এ সংবিধান বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বিরাট দিকদর্শন।’ ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্যদের নিকট হতে গৃহীত প্রায় ৭৫০টি সংশােধনী প্রস্তাব পরীক্ষা করে মাত্র কয়েকটি গ্রহণ করা হয়। ১৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সংবিধান বিল সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা চলে। অতঃপর ৩১ অক্টোবর খসড়া সংবিধানের দফাওয়ারী আলোচনা শুরু হয়। ৩ নভেম্বর কতকগুলো সংশোধনীসহ খসড়া সংবিধানের সকল অনুচ্ছেদ ও তফসিল গৃহীত হয়। ৪ নভেম্বর গণপরিষদে জনপ্রতিনিধিগণ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থায়ী সংবিধান বিধিবদ্ধ করেন। সেদিন বেলা ১টা ৩০ মিনিট ৪০ সেকেন্ড এর সময় গণপরিষদের সদস্যদের তুমুল করতালি ও হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে সংবিধানটি পাস হয় এবং তা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘একটি জাতি হিসেবে বাঙালি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সংবিধান প্রণয়ন করলো।’ এভাবে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ হতে বিধিবদ্ধ সংবিধান বলবৎ হয়।

বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন

Wednesday, March 20, 2024

বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

সংবিধান দেশ ও শাসনভেদে ভিন্ন হয়। একটি দেশের সংবিধানের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য দেখে সহজে সেই দেশের প্রকৃত অবস্থা জানা যায়। বাংলাদেশ যেহেতু একটি গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ, সেই হিসেবে সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হবে মূলত জনগণের অনুকূলে। ১৯৭২ সালে রচিত বাংলাদেশের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে রয়েছে-

লিখিত দলিল: বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। এর ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এটি ১১টি ভাগে বিভক্ত। এর একটি প্রস্তাবনাসহ সাতটি তফসিল রয়েছে।

দুষ্পরিবর্তনীয়: বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়। কারণ, এর কোনো নিয়ম পরিবর্তন বা সংশোধন করতে জাতীয় সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন হয়।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব মূলনীতির দ্বারা অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

প্রজাতন্ত্র: সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের পক্ষে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ক্ষমতা পরিচালনা করবেন।

মৌলিক অধিকার: সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা কী কী অধিকার ভোগ করতে পারব তা সংবিধানে উল্লেখ থাকায় এগুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

মালিকানার নীতি: বাংলাদেশ সংবিধানে তিন ধরনের মালিকানার কথা লিপিবদ্ধ আছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের বিশেষ একটা বৈশিষ্ট্য। সংবিধানের ১৩ নং অনুচ্ছেদে ক. রাষ্ট্রীয় মালিকানা, খ. সমবায় মালিকানা এবং গ. ব্যক্তিগত মালিকানা।

সার্বজনীন ভোটাধিকার: বাংলাদেশের সংবিধানের সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, পেশা নির্বিশেষে ১৮ বছর বয়সের এ দেশের সকল নাগরিক ভোটাধিকার লাভ করেছে।

সংসদীয় সরকার: বাংলাদেশের সংবিধানে সংসদীয়শাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার হাতে শাসনকার্য পরিচালনার ভার অর্পণ করা হয়। মন্ত্রি পরিষদ তার কাজের জন্য আইনসভার নিকট দায়ী থাকে।

এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র: বাংলাদেশ এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। এখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মতো কোনো অঙ্গরাজ্য বা প্রাদেশিক সরকার নেই। জাতীয় পর্যায়ে একটিমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা সমগ্র দেশ পরিচালিত হয়।

আইনসভা: বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট। এটি সার্বেেভৗম আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। এর নাম জাতীয় সংসদ। বর্তমানের জাতীয় সংসদ ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা: বাংলাদেশের সংবিধানে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের বিধান রয়েছে।

সর্বোচ্চ আইন: বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে দেশের প্রচলিত কোনো আইনের সংঘাত সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে সংবিধান প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ যদি কোনো আইন সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যহীন হয়, তাহলে ঐ আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ ততোখানি বাতিল হয়ে যাবে।


বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন