Monday, May 6, 2024

এক নজরে বাংলাদেশের সংবিধান -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

প্রস্তাবনা

প্রথম ভাগ - প্রজাতন্ত্র (অনুচ্ছেদ ০১-০৭)

অনুচ্ছেদ- ১            প্রজাতন্ত্র
অনুচ্ছেদ- ২            প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা
অনুচ্ছেদ- ২ক         রাষ্ট্রধর্ম
অনুচ্ছেদ- ৩            রাষ্ট্রভাষা
অনুচ্ছেদ- ৪            জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
অনুচ্ছেদ- ৪ক         জাতির পিতার প্রতিকৃতি
অনুচ্ছেদ- ৫            রাজধানী
অনুচ্ছেদ- ৬            নাগরিকত্ব
অনুচ্ছেদ- ৭            সংবিধানের প্রাধান্য
অনুচ্ছেদ- ৭ক         সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ
অনুচ্ছেদ- ৭খ        সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য

দ্বিতীয় ভাগ- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি (অনুচ্ছেদ: ০৮-২৫)

অনুচ্ছেদ- ৮          মূলনীতিসমূহ
অনুচ্ছেদ- ৯          জাতীয়তাবাদ
অনুচ্ছেদ- ১০        সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
অনুচ্ছেদ- ১১        গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
অনুচ্ছেদ- ১২        ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ১৩        মালিকানার নীতি
অনুচ্ছেদ- ১৪        কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
অনুচ্ছেদ- ১৫        মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
অনুচ্ছেদ- ১৬        গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
অনুচ্ছেদ- ১৭        অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
অনুচ্ছেদ- ১৮        জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
অনুচ্ছেদ- ১৮ক     পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন
অনুচ্ছেদ- ১৯        সুযোগের সমতা
অনুচ্ছেদ- ২০        অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম
অনুচ্ছেদ- ২১        নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য
অনুচ্ছেদ- ২২        নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ
অনুচ্ছেদ- ২৩        জাতীয় সংস্কৃতি
অনুচ্ছেদ- ২৩ক     উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সস্প্রদায়ের সংস্কৃতি
অনুচ্ছেদ- ২৪       জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ২৫       আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন

তৃতীয় ভাগ- মৌলিক অধিকার (অনুচ্ছেদ: ২৬-৪৭)

অনুচ্ছেদ- ২৬    মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল
অনুচ্ছেদ- ২৭    আইনের দৃষ্টিতে সমতা
অনুচ্ছেদ- ২৮    ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য
অনুচ্ছেদ- ২৯    সরকারী নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা
অনুচ্ছেদ- ৩০    বিদেশী, খেতাব, প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ
অনুচ্ছেদ- ৩১    আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৩২    জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ
অনুচ্ছেদ- ৩৩    গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ
অনুচ্ছেদ- ৩৪    জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ
অনুচ্ছেদ- ৩৫    বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ
অনুচ্ছেদ- ৩৬    চলাফেরার স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৩৭    সমাবেশের স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৩৮    সংগঠনের স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৩৯    চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৪০    পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৪১    ধর্মীয় স্বাধীনতা
অনুচ্ছেদ- ৪২    সম্পত্তির অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৪৩    গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ
অনুচ্ছেদ- ৪৪    মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ
অনুচ্ছেদ- ৪৫    শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন
অনুচ্ছেদ- ৪৬    দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ৪৭    কতিপয় আইনের হেফাজত
অনুচ্ছেদ- ৪৭ক    সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা

চতুর্থ ভাগ- নির্বাহী বিভাগ (অনুচ্ছেদ: ৪৮-৬৪)

১ম পরিচ্ছেদ - রাষ্ট্রপতি

অনুচ্ছেদ- ৪৮    রাষ্ট্রপতি
অনুচ্ছেদ- ৪৯    ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৫০    রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৫১    রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
অনুচ্ছেদ- ৫২    রাষ্ট্রপতির অভিশংসন
অনুচ্ছেদ- ৫৩    অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
অনুচ্ছেদ- ৫৪    অনুপস্থিতি প্রভৃতির-কালে রাষ্ট্রপতি-পদে স্পীকার

২য় পরিচ্ছেদ - প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা

অনুচ্ছেদ- ৫৫    মন্ত্রিসভা
অনুচ্ছেদ- ৫৬    মন্ত্রিগণ
অনুচ্ছেদ- ৫৭    প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৫৮    অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৫৮ক    [বিলুপ্ত]

২ক পরিচ্ছেদ - বিলুপ্ত

৩য় পরিচ্ছেদ - স্থানীয় শাসন

অনুচ্ছেদ- ৫৯    স্থানীয় শাসন
অনুচ্ছেদ- ৬০    স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা

৪র্থ পরিচ্ছেদ - প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ

অনুচ্ছেদ- ৬১    সর্বাধিনায়কতা
অনুচ্ছেদ- ৬২    প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ৬৩    যুদ্ধ

৫ম পরিচ্ছেদ - অ্যাটর্ণি -জেনারেল

অনুচ্ছেদ- ৬৪    অ্যাটর্ণি-জেনারেল

পঞ্চম ভাগ- আইনসভা (অনুচ্ছেদ: ৬৫-৯৩)

১ম পরিচ্ছেদ - সংসদ

অনুচ্ছেদ- ৬৫    সংসদ-প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ৬৬    সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা
অনুচ্ছেদ- ৬৭    সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া
অনুচ্ছেদ- ৬৮    সংসদ-সদস্যদের [পারিশ্রমিক] প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ৬৯    শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদন্ড
অনুচ্ছেদ- ৭০    রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া
অনুচ্ছেদ- ৭১    দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা
অনুচ্ছেদ- ৭২    সংসদের অধিবেশন
অনুচ্ছেদ- ৭৩    সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
অনুচ্ছেদ- ৭৩ক    সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৭৪    স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার
অনুচ্ছেদ- ৭৫    কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ৭৬    সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
অনুচ্ছেদ- ৭৭    ন্যায়পাল
অনুচ্ছেদ- ৭৮    সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি
অনুচ্ছেদ- ৭৯    সংসদ-সচিবালয়

২য় পরিচ্ছেদ - আইন প্রনয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি

অনুচ্ছেদ- ৮০    আইন প্রণয়ন পদ্ধতি
অনুচ্ছেদ- ৮১    অর্থবিল
অনুচ্ছেদ- ৮২    আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ
অনুচ্ছেদ- ৮৩    সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা
অনুচ্ছেদ- ৮৪    সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাব
অনুচ্ছেদ- ৮৫    সরকারী অর্থের নিয়ন্ত্রণ
অনুচ্ছেদ- ৮৬    প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাবে প্রদেয় অর্থ
অনুচ্ছেদ- ৮৭    বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি
অনুচ্ছেদ- ৮৮    সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়
অনুচ্ছেদ- ৮৯    বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি
অনুচ্ছেদ- ৯০    নির্দিষ্টকরণ আইন
অনুচ্ছেদ- ৯১    সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী
অনুচ্ছেদ- ৯২    হিসাব, ঋণ প্রভৃতির উপর ভোট
অনুচ্ছেদ- ৯২ক    [বিলুপ্ত]

৩য় পরিচ্ছেদ - অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা

অনুচ্ছেদ- ৯৩    অধ্যাদেশ প্রণয়ন-ক্ষমতা

ষষ্ঠ ভাগ- বিচারবিভাগ (অনুচ্ছেদ: ৯৪-১১৭)

১ম পরিচ্ছেদ - সুপ্রীম কোর্ট

অনুচ্ছেদ- ৯৪    সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ৯৫    বিচারক-নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ৯৬    বিচারকের পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ৯৭    অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ৯৮    সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ
অনুচ্ছেদ- ৯৯    অবসর গ্রহণের পর বিচারগণের অক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১০০    সুপ্রীম কোর্টের আসন
অনুচ্ছেদ- ১০১    হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার
অনুচ্ছেদ- ১০২    কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১০৩    আপীল বিভাগের এখতিয়ার
অনুচ্ছেদ- ১০৪    আপীল বিভাগের পরোয়ানা জারী ও নির্বাহ
অনুচ্ছেদ- ১০৫    আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা
অনুচ্ছেদ- ১০৬    সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার
অনুচ্ছেদ- ১০৭    সুপ্রীম কোর্টের বিধি-প্রণয়ন-ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১০৮    "কোর্ট অব রেকর্ড" রূপে সুপ্রীম কোর্ট
অনুচ্ছেদ- ১০৯    আদালতসমূহের উপর তত্ত¡াবধান ও নিয়ন্ত্রণ
অনুচ্ছেদ- ১১০    অধস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর
অনুচ্ছেদ- ১১১    সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা
অনুচ্ছেদ- ১১২    সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা
অনুচ্ছেদ- ১১৩    সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীগণ

২য় পরিচ্ছেদ - অধস্তন আদালত

অনুচ্ছেদ- ১১৪    অধস্তন আদালত-সমূহ প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১১৫    অধস্তন আদালতে নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ১১৬    অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা
অনুচ্ছেদ- ১১৬ক    বিচারবিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন

৩য় পরিচ্ছেদ - প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল

অনুচ্ছেদ- ১১৭    প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালসমূহ

ষষ্ঠ ক ভাগ - জাতীয়দল - বিলুপ্ত

সপ্তম ভাগ- নির্বাচন (অনুচ্ছেদ: ১১৮-১২৬)

অনুচ্ছেদ- ১১৮    নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১১৯    নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব
অনুচ্ছেদ- ১২০    নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীগণ
অনুচ্ছেদ- ১২১    প্রতি এলাকার জন্য একটিমাত্র ভোটার তালিকা
অনুচ্ছেদ- ১২২    ভোটার-তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা
অনুচ্ছেদ- ১২৩    নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময়
অনুচ্ছেদ- ১২৪    নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ- ১২৫    নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা
অনুচ্ছেদ- ১২৬    নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান

অষ্টম ভাগ- মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (অনুচ্ছেদ: ১২৭-১৩২)

অনুচ্ছেদ- ১২৭    মহা হিসাব-নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১২৮    মহা-হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব
অনুচ্ছেদ- ১২৯    মহা হিসাব-নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ১৩০    অস্থায়ী মহা হিসাব-নিরীক্ষক
অনুচ্ছেদ- ১৩১    প্রজাতন্ত্রের হিসাব-রক্ষার আকার ও পদ্ধতি
অনুচ্ছেদ- ১৩২    সংসদে মহা হিসাব-নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন

নবম ভাগ- বাংলাদেশের কর্মবিভাগ (অনুচ্ছেদ: ১৩৩-১৪১)

১ম পরিচ্ছেদ - কর্মবিভাগ

অনুচ্ছেদ- ১৩৩    নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলী
অনুচ্ছেদ- ১৩৪    কর্মের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ১৩৫    অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বরখাস্ত প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ১৩৬    কর্মবিভাগ-পুনর্গঠন

২য় পরিচ্ছেদ - সরকারী কর্ম কমিশন

অনুচ্ছেদ- ১৩৭    কমিশন-প্রতিষ্ঠা
অনুচ্ছেদ- ১৩৮    সদস্য-নিয়োগ
অনুচ্ছেদ- ১৩৯    পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ- ১৪০    কমিশনের দায়িত্ব
অনুচ্ছেদ- ১৪১    বার্ষিক রিপোর্ট

নবম-ক ভাগ- জরুরী বিধানাবলী

অনুচ্ছেদ- ১৪১ক    জরুরী-অবস্থা ঘোষণা
অনুচ্ছেদ- ১৪১খ    জরুরী-অবস্থার সময় সংবিধানের কতিপয় অনুচ্ছেদের বিধান স্থগিতকরণ
অনুচ্ছেদ- ১৪১গ    জরুরী-অবস্থার সময় মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিতকরণ

দশম ভাগ- সংবিধান-সংশোধন (অনুচ্ছেদ: ১৪২)

অনুচ্ছেদ- ১৪২    সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা

একাদশ ভাগ- বিবিধ (অনুচ্ছেদ: ১৪৩-১৫৩)

অনুচ্ছেদ- ১৪৩    প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি
অনুচ্ছেদ- ১৪৪    সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি-প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব
অনুচ্ছেদ- ১৪৫    চুক্তি ও দলিল
অনুচ্ছেদ- ১৪৫ক    আন্তর্জাতিক চুক্তি
অনুচ্ছেদ- ১৪৬    বাংলাদেশের নামে মামলা
অনুচ্ছেদ- ১৪৭    কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভৃতি
অনুচ্ছেদ- ১৪৮    পদের শপথ
অনুচ্ছেদ- ১৪৯    প্রচলিত আইনের হেফাজত
অনুচ্ছেদ- ১৫০    ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী
অনুচ্ছেদ- ১৫১    রহিতকরণ
অনুচ্ছেদ- ১৫২    ব্যাখ্যা
অনুচ্ছেদ- ১৫৩    প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ

তফসিল (০৭ টি)

প্রথম তফসিল    অন্যান্য বিধান সত্তে¡ও কার্যকর আইন
দ্বিতীয় তফসিল    রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বিলুপ্ত)
তৃতীয় তফসিল    শপথ ও ঘোষণা
চতুর্থ তফসিল    ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলি
পঞ্চম তফসিল    ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া                              ভাষণ
ষষ্ঠ তফসিল     ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্য রাত শেষে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর                         রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা
সপ্তম তফসিল    ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

 


 এক নজরে বাংলাদেশের সংবিধান 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন


বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস -- মোঃ হেলাল উদ্দিন


১৯৭১ সালের বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আবির্ভাব হওয়ার পর সংগত কারণেই একটি সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এসে ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির এক আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থায়ী সাংবিধানিক অধ্যাদেশ জারি করেন।

গণপরিষদ আদেশঃ ২৩ মার্চ, ১৯৭২ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। এ আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ এবং ১৯৭১ সালের নির্বাচন অনুযায়ী জাতীয় পরিষদের ১৬৯ জন এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত ৩০০ জন সর্বমােট ৪৬৯ জন সদস্য নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। এ গণপরিষদের মূল দায়িত্ব ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান প্রণয়ন।

অস্থায়ী সংবিধান আদেশঃ অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশে বলা হয় যে, ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর ও ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত সকল জাতীয় পরিষদ সদস্য ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবেন। এ আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় সরকারের প্রবর্তন করা হয়। গণপরিষদের সদস্যদের উপরই সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ভার অর্পণ করা হয়।

গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭২ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেন। অধিবেশনের প্রথম দিনে গণপরিষদ সদস্যগণ কর্তৃক স্পিকার নির্বাচিত হন শাহ আব্দুল হামিদ ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন জনাব মোহাম্মদ উল্লাহ। ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ১০ জুন, ১৯৭২ উক্ত কমিটি এক বৈঠকে সংবিধানের একটি প্রাথমিক খসড়া অনুমােদন করেন। এ অধিবেশনে ৪১৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠনঃ ১২ এপ্রিল, ১৯৭২ গণপরিষদ খসড়া সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। বাংলাদেশের প্রথম আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন এ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। গণপরিষদে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (মোজাফফর) সদস্য শ্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তই কেবল আওয়ামী লীগের বাহির হতে উক্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। গণপরিষদের ৭ জন মহিলা সদস্যের মধ্যে বেগম রাজিয়া বানু-কে কমিটির সদস্য করা হয়। এ কমিটিকে ১৯৭২ সালের ১০ জুনের মধ্যে একটি বিলের আকারে তাদের রিপাের্ট গণপরিষদে পেশ করতে বলা হয়।

সংবিধান প্রণয়ন কমিটির কার্যক্রমঃ খসড়া সংবিধান কমিটি সর্বমোট ৭৪টি বৈঠকে মিলিত হয়। কমিটির প্রথম বৈঠকের প্রস্তাব অনুযায়ী বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে খসড়া সংবিধান সম্পর্কে প্রস্তাব চাওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জুনের বৈঠকে সংবিধানের একটি প্রাথমিক খসড়া অনুমোদিত হয়। যেহেতু বাংলাদেশ সংবিধানে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে বলে স্থির করা হয়েছিল, সেহেতু একে পূর্ণাঙ্গ ও যথাসম্ভব ফলপ্রসূ করে তোলার লক্ষ্যে কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ভারত ও ব্রিটেন সফর করেন। তিনি উভয় দেশের পার্লামেন্টের কার্যকারিতা প্রত্যক্ষ করেন এবং দেশে ফিরে উক্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। কমিটির সভাপতি ১১ জুন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এবং খসড়া সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ১১ অক্টোবর কমিটি সর্বশেষ আলোচনা করেন এবং ঐ দিন সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ খসড়া চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।

গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনঃ বাংলাদেশ গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসে ১২ অক্টোবর, ১৯৭২। এই অধিবেশনে গণপরিষদ কতিপয় সংশোধনী মতে খসড়া সংবিধান কার্যপ্রণালি সংক্রান্ত বিধিমালা গ্রহণ করেন। গণপরিষদে সাংবিধানিক বিলটির উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘এ সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত।’ সে সাথে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ সংবিধান দেশের সমগ্র জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার মূর্ত প্রতীক বলে বিবেচিত হবে। সংবিধান বিলটি উত্থাপনকালে আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘এ সংবিধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করে। এটা এমন এক সমাজব্যবস্থা যাতে আইনের শাসন, মৌল মানবিক অধিকার এবং স্বাধীনতা, সাম্য ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সকল নাগরিকের জন্য অর্জিত হবে।’

সংবিধান বিধিবদ্ধকরণঃ ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ গণপরিষদ অধিবেশনে মিলিত হয়। ঐ দিন বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় ৭৩ পৃষ্ঠাবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান অধিবেশনে পেশ করেন আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ড. কমাল হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ যে সংবিধান রচনা করেছে, তা বাংলাদেশের জনগণের তাজা রক্তে লেখা হয়েছে।’ আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এ সংবিধান বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বিরাট দিকদর্শন।’ ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্যদের নিকট হতে গৃহীত প্রায় ৭৫০টি সংশােধনী প্রস্তাব পরীক্ষা করে মাত্র কয়েকটি গ্রহণ করা হয়। ১৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সংবিধান বিল সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা চলে। অতঃপর ৩১ অক্টোবর খসড়া সংবিধানের দফাওয়ারী আলোচনা শুরু হয়। ৩ নভেম্বর কতকগুলো সংশোধনীসহ খসড়া সংবিধানের সকল অনুচ্ছেদ ও তফসিল গৃহীত হয়। ৪ নভেম্বর গণপরিষদে জনপ্রতিনিধিগণ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থায়ী সংবিধান বিধিবদ্ধ করেন। সেদিন বেলা ১টা ৩০ মিনিট ৪০ সেকেন্ড এর সময় গণপরিষদের সদস্যদের তুমুল করতালি ও হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে সংবিধানটি পাস হয় এবং তা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘একটি জাতি হিসেবে বাঙালি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সংবিধান প্রণয়ন করলো।’ এভাবে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ হতে বিধিবদ্ধ সংবিধান বলবৎ হয়।

বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধু পাঠ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

'বঙ্গবন্ধু পাঠ' বইটি পড়তে/ পিডিএফ কপি ডাউনলোড করতে Click Here

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘স্মৃতিতিকথা’র নাম ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু এ গ্রন্থ রচনা করেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত জীবনকাহিনীর বর্ণনা আছে। গ্রন্থটির প্রথম প্রকাশিত হয় জুন, ২০১২। দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন সমর মজুমদার। বঙ্গবন্ধু তাঁর তথ্যবহুল আত্মজীবনীতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সহজ সরল বর্ণনা করেছেন। এর মধ্য উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা হল: ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, পাকিস্তান আন্দোলন,  ১৯৪৬ সালের বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ভাষা আন্দোলন, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন প্রভৃতি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু তাঁর জন্ম, শৈশব, বংশ পরিচয় ও স্কুল-কলেজ জীবনের সামগ্রিক বর্ণনা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন গ্রন্থটিতে। এক কথায়, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা ও পাঠের এক মহামূল্যবান দলিল, যা তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের পরিধি বুঝতে সহায়ক। গ্রন্থটি প্রকাশে সম্পাদনা, সংশোধন ও প্রুফ দেখার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা, বেবি মওদুদ ও অধ্যাপক শামসুজ্জামান। ইংরেজি অনুবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম।

 

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন

'আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান আমলে দুইবার চীন সফর করেন। সে সময় চীন দেশকে নয়াচীন-ই বলা হত। প্রথমবার তিনি সফর করেন ১৯৫২ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৫৭ সালে। বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ সালে পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে নয়াচীন ভ্রমণ করেন। উদ্দেশ্য ছিল ২ থেকে ১২ ই অক্টোবর চীনে অনুষ্ঠিত ‘পিস কনফারেন্স অফ দি এশিয়ান এন্ড প্যাসেফিক রিজিওন্স’ সম্মেলনে যোগদান করা। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে দ্বিতীয়বার চীন সফর করেন পাকিস্তান সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে। তখন তিনি যুক্তফ্রন্টের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ এইড দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। সংক্ষেপে বলা হত শ্রম মন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু তাঁর ১৯৫২ সালের নয়াচীন সফরের স্মৃতিনির্ভর ভ্রমণ কাহিনী ১৯৫৪ সালে কারাগারে রাজবন্দি থাকাকালে রচনা করেন। ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি বঙ্গবন্ধু রচিত চীন সফরের ভ্রমণকাহিনী নিয়ে প্রকাশ করে ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি। এ বইটি মূলত বঙ্গবন্ধুর ১৯৫২ সালের নয়াচীন সফরের ভ্রমণকাহিনী নিয়ে। এখানে ১৯৫৭ সালের চীন সফরের বর্ণনা নেই। কারণ ১৯৫৭ সালের চীন সফরের কোন পান্ডুলিপি পাওয়া যায়নি। তবে চীনের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করার সময় ১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের কিছু দুর্লভ ছবি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেন। সে সকল দুর্লভ ছবি এ গ্রন্থে সংযোজন করা হয়েছে।

‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি ভ্রমণকাহিনী হলেও এখানে বঙ্গবন্ধুর গভীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, দেশপ্রেম, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সাম্রজ্যবাদ বিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক মতাদর্শ প্রভৃতির পরিচয় পাওয়া যায়।


'আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন