Friday, July 12, 2024

Do or Die -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

 'জীবন হলো খাটি, করুণ বাস্তবতা,,,,।' কথাটা মনে হয় না কেই অস্বীকার করতে পারবে। জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে এসে এমন বাস্তবার মুখোমুখি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কেননা এই পৃথিবীতে সবাই কিন্তু সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক মহামানবের পরিচয় পাওয়া যাবে, যাদের মাধ্যমে পৃথিবীর পরির্বতন সাধিত। তবে এই পরিবর্তন খুব সহজে হয়েছে তা কিন্তু নয়। পৃথিবীর  প্রতিটা পরিবর্তনের, পৃথিবীর পরিবর্তিত প্রতিটা মানুষের পরিবর্তনের ইতিহাস অনেক বাধা-বিপত্তির ইতিহাস। যে ইতিহাস থেকে আমরা পরিবর্তনকামী মানবকুল শিক্ষা নিয়ে থাকে এবং এর মাধ্যমে আরো ভিন্ন কোন পরিবর্তনের কৌশল রচনা করে থাকি। শুধু কৌশলই নয়, সত্যিকারের নতুন নতুন পরিবর্তন সাধিত করে থাকি। এভাবেই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষ উন্নতির শিখরে পৌছে থাকি। এই পরিবর্তন করতে গিয়ে আমরা যত ধরনের বাধার সম্মুখীন হই তখন কোন ভাবেই ভেঙ্গে পরা যাবে না। ভেঙ্গে পড়লে বেঁচে থাকা যাবে কিন্তু সফল হওয়া যাবে না আর সেখানে সফলতা নেই সে বাঁচার কোন অর্থও থাকতে পারে না, তাই "Do or Die" এই তত্ত্বকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। যাতে বেঁচে থাকলে বিজয়ের উল্লাস করতে করতে জীবন কাটিয়ে দেয়া যাবে নচেৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যাওয়াই শ্রেয় হবে। কেননা কথায় আছে, টিকে থাকাই চরম স্বার্থকতা নয়। তাই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে পৃথিবীর মাঝে বিচরণ করতে হবে আমাদের সকলকে। এইটা হোক আমাদের জীবনের প্রত্যয়।
 
 Do or Die

'গল্প হলেও স্বপ্ন' -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

বাড়ি ভর্তি মেহমান। সবাই তাদের মেহমানদারি করাতে ব্যস্ত, কিন্তু তরু আর শশী মত্ত আছে তাদের গল্পের মাঝে। বলে রাখা ভালো এই তরু আর শশী হলো সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি। তাই এদের গল্পের সময় আর অসময় নেই। আজও তেমনি গল্পের মাঝেই হঠাৎ শশী বলে উঠলো এই তরু, তুমি কি জানো আমি কে?
এই কথা শুনে তরু হাসতে লাগলো আর বললো জানবো না কেন? তুমিতো আমার শশী।
শশী এবার সিরিয়াসলি বললো, না তরু, না। আমি শশী না। শশীর আড়ালেও আমার একটা আলাদা পরিচয় আছে, যা অনেকেই জানে না, তুমি জানো না।
এবাব তরু সত্যিই অবাক হয়ে যায়। সে বিস্মিত চোখে শশীর কাছে জানতে চাই তার আসল পরিচয় কি? শশী আস্তে আস্তে বলতে শুরু করে তার জীবনের সত্যিটা।
আমার আসল নাম ঋতু ঘোষ। আমার বয়স যখন দশ বছরের মতো হবে, তখন রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। এখন যাদের মা বাবা বলে ডাকি, তারাই আমাকে আশ্রয় দেয়, লেখা-পড়া করায়, তাদের কারনেই আজ আমি প্রতিষ্ঠিত। এখন তাদের পরিচয় ই আমার বড় পরিচয়।
তরু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শশীর মুখের দিকে। এ কি বলছে শশী, এটা কি করে সম্ভব? এতো বড় সত্যিই কিভাবে গোপন রেখেছিল এতো দিন? এর কোন উত্তর খুজে পায় না তরু। তবুও তরু প্রশ্ন করে শশীকে, আচ্ছা তোমার আসল মা-বাবা কোন দিন কি তোমাকে খুজেনি?
শশী সাবলীল ভাষায় উত্তর দেয়, জানতাম মা আমাকে খুঁজতে মাঝে মাঝেই পাশের এলাকাতে, এমনকি পাশের বাড়ি পর্যন্ত আসত যদি আমার দেখা পায়, কিন্তু কখনো আমার দেখা পায়নি আর আমিও কখনো মায়ের সাথে দেখা করিনি।
একথা শুনে তরু আরো অবাক হয়ে যায় এবং শশীকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে, তুমিতো দেখি ছোট বেলা থেকেই অনেক পাষাণ, অনেক নিষ্ঠুর।
তরুর একথা শুনে শশী অট্ট হাসিতে ফেটে পরে আর তার হাসির শব্দে তরুর ঘুম ভেঙ্গে যায়, সে চোখ খুলে দেখে একি শশীতো দিব্যি ঘুমাচ্ছে। তরুর মনে বার বার প্রশ্ন এ কি দেখলো সে?? এটাই কি সত্যিই?? কি করে তা শশীকে জিজ্ঞাস করবে, এই ভাবতে ভাবতে তরু আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
 
 
'গল্প হলেও স্বপ্ন'