'Poet
of Politics' খ্যাত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিলো বাঙালি জাতির
স্বাধীনতা ঘোষণার প্রথম ধাপ। যেখানে বলা হয়েছিলো, "এবারের সংগ্রাম মুক্তির
সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।" এরপরে ২৬ মার্চ আসে
স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬
ডিসেম্বর অর্জিত হয় বিজয়।
৭ই মার্চের ভাষণই ছিলো মূলত স্বাধীনতা
ঘোষণার। যেখানে বলা হয়েছিলো, "তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত
থাকো।" এরপরে বাঙালির সেই যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং স্বাধীনতার ঘোষণার পরে
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ ও স্বাধীনতা অর্জন, যার মূলে ছিলে ১৮ মিনিটের এই ভাষণ। ৭ই
মার্চের এই ১১০৫ টি শব্দের ভাষণে কি এমন ছিলো যার কারনে বাঙালি জাতি জীবন
দিতে প্রস্তুত হয়েছিলো এবং ত্রিশ লাক্ষ শহিদের বিনিময় বাংলাকে স্বাধীন
করেছিলো। কেনই বা এই ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত
হয়েছে এর চুলছেড়া বিশ্লেষণ নিয়ে রচিত বই '৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা'। বইটি
লিখেছেন ড. হারুন-অর-রশিদ স্যার।
বইটি ১১টি অধ্যায়ে বিভক্ত এবং
পরিশিষ্ট অংশে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ১১টি
অধ্যায়ের ৯টি অধ্যায়ে ৭ই মার্চের ভাষণকে বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করা
হয়েছে। যেমন- ভাষণের ঐতিহাসিক পটভূমি, সমকালীন পরিপ্রেক্ষিত, বহুমাত্রিক
বিশ্লেষণ, বিদেশি প্রচারমাধ্যমে ভাষণ, বিশ্বস্বীকৃতি ইত্যাদি। পরিশিষ্ট
অংশে যুক্ত আছে লাহোর প্রস্তাব, অসহযোগ আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ৩৫টি
নির্দেশনা, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মতো দলিল সমূহ।
বইটি পাঠের
মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে যেমন বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত জানা যাবে
তেমনি তৎকালীন আওয়ামী রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের উত্থান, স্বাধীনতা
সংগ্রাম সম্পর্কে জানা যাবে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ গবেষকদের
জন্য বইটি একটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য ও তথ্যের উৎস হতে পারে।
বইঃ ৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা
লেখকঃ ড. হারুন-অর-রশিদ
প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ
মূল্যঃ ৪০০ টাকা।
সুন্দর লেখা।
ReplyDelete