খুলনার কলাপোতা গ্রামের ইন্দুর বিয়ে হলো কলকাতায়। দোজবরে মাতাল এক পুরুষের সঙ্গে। তিন সন্তান নিয়ে অল্পকালেই বিধবা। তারপর পূর্ব পাকিস্তান যেদিন হলো বাংলাদেশ, সেদিনই কলকাতার ছেনু মিত্তির লেনে প্রথম আঁচ পড়লো ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে। এই উপন্যাসে ছেনু মিত্তির লেনের ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ছুঁয়ে থাকে এক টুকরো খুলনা আর আমাদের রান্না ঘরের ইতিহাস। যে ইতিহাস ইন্দুবালার জীবনের ইতিহাস। এই ইতিহাসে আছে ভারত বিভক্তি, অখন্ড বাংলার ইচ্ছা, স্বাধীন বাংলাদেশ, আছে নকশাল আন্দোলন, খাদ্যের জন্য আন্দোলন। এই রাজনৈতিক ইতিহাস উপন্যাসে খুবই সামান্য, কেননা এখানে একজন বিধবা নারীর জীবন সংগ্রামের দিকটাই হলো মূল আলোচ্য। কেমন করে বিধবা ইন্দুবালা তিন সন্তান নিয়ে মাথা উঁচু করে টিকে ছিলেন সমাজে, টিকিয়ে রেখেছিলে আমাদের ঐতিহ্য, করেছিল মানুষের সেবা। ইন্দুবালা চরিত্রের এই অসাধারণ বর্ণনা আমাদের সমাজ জীবনকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরে।
No comments:
Post a Comment