সবাইকে হাসি-খুশি রাখার দায়িত্ব তোকেই নিতে হবে,
তোর হাসি-খুশিতে কার-বা কি লাভ-ক্ষতি আছে।
জানিস না তোর জন্ম হয়েছে সবাইকে খুশি করতে।
জন্মেই তুই খুশি করেছিলি মা-বাবা, দাদা-দাদী,
নানা-নানী তোর কতো কাছের দূরের স্বজনকে।
তুই কি তা ভুলে গেলি, তোর কি তা মনে পড়েনা।
জন্মের পরপরই তুই কেঁদে উঠলি আর সবাই
হাসিতে ফেটে পড়ল, খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল।
তারপরে যতোই দিন গড়াতে লাগলো তোর
এই খুশি করার দায়দায়িত্ব বাড়তে লাগলো।
মনে পড়ে কি তোর সেদিনের কথা
যেদিন তুই স্কুলের পরীক্ষায় প্রথম হতে পারলি না
সবাই কি মন খারাপই না করেছিলো,
সেদিন কেউ তোর মনের অবস্থা দেখেনি
দেখেছে শুধু তাদের সম্মানের কথা,
তাদের স্বপ্ন পূরনের পথে বাধার কাটা।
এরপর থেকে আর তোকে এমন অবস্থা দেখতে হয়নি,
তুই সবাইকে খুশিই করে যাচ্ছিস
তোর মেধার দ্বারা, তোর শ্রমের দ্বারা,
যখন যেভাবে পারো, যতোটুকু পারো
সবাই তাতে খুশি, সবাই তোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
কিন্তু কেউ কি একবারও জানতে চেয়েছে
তুই কেমন আছিস, তোর কোন প্রয়োজন আছে কিনা?
কিংবা কেমন করে কাটছে তোর সময়
চায়নি তা জানতে আর চাইবেও না।
তুই মুখে বললেও কেউ শোনার সময় পাবে না,
যদি না তাদের তুই খুশি রাখতে পারিস।
সবাইকে খুশি রাখাই যে তোর কাজ।
তুই ভুলে যা তোর সুখের কথা,
তুই মনে করিস না তোর হাসি কান্নার কথা।
তুই যে পৃথিবীতে এসেছিস একা
আবার চলে যাবিও একা।
সেদিন সবাই কাঁদবে, বলবে তোর কথা
তোর দায়িত্ব যে ছিল তাদের সুখে রাখা।
তুই ভুলে যা তোর সব কথা,
তোর দায়িত্ব যে সবাইকে সুখে রাখা।
----------------------------------