ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠা এবং এর প্রভাব
১৭৭৩ সালের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রণীত 'রেগুলেটিং এ্যাক্ট' এর মাধ্যমে ভারতে ওয়ারেন হেস্টিংসকে গর্ভনর জেনারেল নিয়োগ এবং চার সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টামন্ডলীর বিধান করে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।
১৭৯৩ সালের লর্ড কর্ণওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসন কাঠামো বিস্তৃতি লাভ করে এবং এর মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের অনুগত একটা শ্রেণি তৈরি হয়।
১৮৫৮ সালের সিপাহি বিদ্রোহ, যা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসাবে বিবেচিত হয় যার মাধ্যমে ভারতে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন অবসান হয় এবং ব্রিটিশ মহারানীর সরাসরি শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
- বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী অনেকগুলো কৃষক বিদ্রোহ এবং সংস্কার আন্দোলন হয়েছে। কৃষক বিদ্রোহের মধ্যে রয়েছে- ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, রংপুর কৃষক বিদ্রোহ, চাকমা বিদ্রোহ, ফরায়েজি আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন। সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রয়েছে- বাল্য বিবাহ বন্ধ, বিধবা বিবাহ প্রচলন, বহুবিবাহ বিরোধীতা, নারী শিক্ষার প্রচলন।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে গড়ে উঠে কতিপয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে অন্যতম হলো- ১৮৮৫ সালে গঠিত 'ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস' এবং ১৯০৬ সালে গঠিত 'নিখিল ভারত মুসলিম লীগ'। এই দলগুলোর মাধ্যমেই ১৯৪৭ সালে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে।
ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন বঙ্গবন্ধুর চিন্তাকে যেভাবে প্রভাবিত করে
No comments:
Post a Comment