Tuesday, February 27, 2024

সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ১৪ খন্ডের ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানী ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) যে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়েছিল, সেটির সংকলিত প্রকাশনাই হল এই বইটি। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু আজীবন যে পাকিস্তানী শাসক-শোসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন, সেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রতিবেদনই এই বইয়ের মূল উৎস। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও জীবননীতি বোঝার জন্য বইটি আকরগ্রন্থ। কেননা গোয়েন্দা প্রতিবেদন গুলো তাদেরই দেওয়া যাদের মোকাবিলা করেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি। একজন মানুষকে জানার একটি বড় ক্ষেত্র হতে পারে, মানুষটি সম্পর্কে তার প্রতিপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন। আর মানুষটি যদি বঙ্গবন্ধু হন তাহলে তো কথাই নেই। পাকিস্তানের এ গোয়েন্দা প্রতিবেদন যখন বলে, ‘মুজিব ষড়যন্ত্রকারী বা দেশদ্রোহী’। তখন আমরা বুঝতে পারি বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও বাঙালির ভাগ্যনিয়ন্ত্রক। বইটির আসল সৌন্দর্য এখানে।

‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইটি ১৪ খন্ডে রচিত। বইটি সম্পাদনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারিসহ ২২ জনের একটি টীম বইটির পান্ডুলিপি উদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেন। ড. পাটোয়ারি যখন বাংলাদেশ  পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মহাপরিচালক ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর উপর পাকিস্তানী ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চের প্রতিবেদনসমূহ সংরক্ষণ ও উদ্ধারের নির্দেশ প্রদান করেন। দেশে বইটির প্রকাশক হাক্কানী পাবলিশার্স।


সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন

Friday, February 23, 2024

‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। কারাগারে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু বেগম ফজিলাতুননেছার উৎসাহে লিখতেন। ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থটি মূলত বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের দিনলিপি। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বন্দি থাকেন। এ সময়ে তিনি যে ডায়েরি লিখেছেন সেটি মার্চ ২০১৭ এ ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামে গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়। বইটির নাম ‘কারাগারের রোজনামচা’ রেখেছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ট কন্যা শেখ রেহানা। বইটি প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি। ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম। বইটির প্রুফ দেখেছেন তৎকালীন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রন্থটি প্রকাশে বাংলা টাইপ করেছেন নিলু।

মূলত গ্রন্থটিতে ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সালের দিনলিপি থাকলেও ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত আইয়ূব খান মার্শাল ল’ জারির পর যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে বন্দি রাখা হয় তখন যে ডায়েরি লেখেন তার অংশবিশেষও এখানে স্থান পেয়েছে। সে সময়কার একটি বাজেয়াপ্ত ডায়েরি ২০১৪ সালে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে আইয়ূব শাসনামলে লেখা সে ডায়েরির নাম বঙ্গবুন্ধু দিয়েছিলেন ‘থালা বাটি কম্বল জেলখানার সম্বল’। বেগম ফজিলাতুননেছার প্রেরণায় লিখিত এই ডায়েরি এক মূল্যবান সম্পদ। যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আমরা নতুনভাবে পরিচিত হতে পারি।

 

‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা 

-- মোঃ হেলাল উদ্দিন