২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ১৪ খন্ডের ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানী ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) যে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়েছিল, সেটির সংকলিত প্রকাশনাই হল এই বইটি। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু আজীবন যে পাকিস্তানী শাসক-শোসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন, সেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রতিবেদনই এই বইয়ের মূল উৎস। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও জীবননীতি বোঝার জন্য বইটি আকরগ্রন্থ। কেননা গোয়েন্দা প্রতিবেদন গুলো তাদেরই দেওয়া যাদের মোকাবিলা করেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি। একজন মানুষকে জানার একটি বড় ক্ষেত্র হতে পারে, মানুষটি সম্পর্কে তার প্রতিপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন। আর মানুষটি যদি বঙ্গবন্ধু হন তাহলে তো কথাই নেই। পাকিস্তানের এ গোয়েন্দা প্রতিবেদন যখন বলে, ‘মুজিব ষড়যন্ত্রকারী বা দেশদ্রোহী’। তখন আমরা বুঝতে পারি বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও বাঙালির ভাগ্যনিয়ন্ত্রক। বইটির আসল সৌন্দর্য এখানে।
‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইটি ১৪ খন্ডে রচিত। বইটি সম্পাদনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারিসহ ২২ জনের একটি টীম বইটির পান্ডুলিপি উদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেন। ড. পাটোয়ারি যখন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মহাপরিচালক ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর উপর পাকিস্তানী ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চের প্রতিবেদনসমূহ সংরক্ষণ ও উদ্ধারের নির্দেশ প্রদান করেন। দেশে বইটির প্রকাশক হাক্কানী পাবলিশার্স।
সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
No comments:
Post a Comment