Sunday, March 30, 2025

ঈদ মাসের বেতন বোনাস এবং গার্মেন্টস মালিক -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় একটা অংশ আসে গার্মেন্টস শিল্প থেকে, যেখানে হাজার হাজার শ্রমিক তাদের শ্রম দিয়ে থাকে। শ্রমিকদের শ্রমের ঘামের উপর দিয়ে মালিক আরো নতুন নতুন কারখানার মালিক হন, কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য বদলায় না। তাদের শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া বেতনের টাকা কারখানার আশেপাশে থাকা আর খাওয়াতেই শেষ হয়ে যায়, কিন্তু শ্রমিকের শ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্ত মুনাফায় মালিকের মালিকানা বৃদ্ধি পায়।

মালিকানা বৃদ্ধি পাবে তাই তো মালিক টাকা বিনিয়োগ করে এ কথা সত্য, তবে মনে রাখতে হবে বিনিয়োগের টাকার সাথে শ্রমিক তার শ্রম বিনিয়োগ করে তাই মুনাফার অংশ তাদেরও প্রাপ্য। মুনাফার অংশ না দিক শ্রমের বিনিময় মূল্য তো সঠিকভাবে সঠিক সময়ে দিয়ে দিবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা সঠিক সময়ে দিতে সমস্যা কোথায়? অন্যান্য সময় এ নিয়ে তেমন কোন কথা না শুনলেও প্রতি ঈদের সময় এই সমস্যাটা প্রকট আকার ধারণ করে। কিন্তু কেন?

প্রতি ঈদের সময়ই শ্রমিকদের বেতন দেয়া, বোনাস দেয়া নিয়ে প্রকট সমস্যা দেখা দেয়। যেটাকে আমার কাছে মনে হয় অনেকটা ইচ্ছাকৃত। কেননা বছরের দুই ঈদ বাদে তো এমন সমস্যার খবর দেখতে পাইনা। তাহলে কি মালিকপক্ষ এটা ইচ্ছাকৃত করেন? আমার কাছে তো তাই মনে হয়। আমার ধারণা সরকার থেকে বিশেষ প্রণোদনা কিন্তু অন্য কোন উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য এমন নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। কেননা, প্রতি বছরই দেখা যায় গার্মেন্টস মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন ভাতা দিতে পারবে না কিংবা আংশিক দিবে বলে তারা ঠিকই আনন্দ ভ্রমণে, ওমরাহ্ পালন করতে কিংবা ঈদ শপিং করতে বিদেশ চলে যায়। তাদের এই টাকা আসে কোথা থেকে? কেউ কি জানতে চেয়েছেন।

যাইহোক, সামনে আসছে ঈদ। এই ঈদেও শ্রমিকদের চোখের জল দেখতে হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়। আশাকরি সরকার এই বিষয়ে কঠোর হবেন এবং ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন বোনাস পাবার ব্যবস্থা করে সাধারণ শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটাবেন।

Tuesday, March 25, 2025

মাধবীলতা ০৬ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

মাধবীলতা
কাল যে তোমার পরীক্ষা
জানি, তবুও ভীষণ মিস করো
ভীষণ মিস করো আমাকে
পড়ার মাঝে মন দিতে পারছো না
আমার কথা ভেবে ভেবে।।
 
মাধবীলতা
এমন করলে কি হবে বলো
সময়ের কাজতো সময়েই করতে হয় তাই-না
সময়তো আর বসে থাকেনা
সে ছুটে চলছে তার আপন গতিতে
তার সাথে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে
চলতে হবে, ছুটতে হবে, সফলতা ধরা দিবে।।
 
মাধবীলতা
জানি, তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে
কষ্ট হচ্ছে আমায় ছাড়া দূরে একা থাকতে
আমার কি খুব ভালো লাগছে
তুমি পাশে না থাকলে কি করো বলো ভালো থাকি
না, ভালো থাকতে পারিনা
তবুও থাকতে হয়, একা থাকি
শুধু তোমার সফলতা দেখবো বলে
তোমার জীবনের স্বার্থকতা দেখবো বলে।।
 
মাধবীলতা
তুমি কেন বুঝনা, কেন বুঝতে চাওনা
একটি বার ভেবে দেখো
আমার ইচ্ছাগুলো কি তোমার থেকে ভিন্ন
না মোটেই না, তোমার আমার স্বপ্নগুলো একই
হয়তো তুমি বলো আর আমি
আমি মুখ বুঝে থাকি আর মনে মনে ছবি আঁকি
ছবি আঁকি তোমার আমার স্বপ্নের নীড়ের।।
 
মাধবীলতা
আমিও স্বপ্ন দেখতে জানি
জানি, কি করে স্বপ্ন পূরণ করতে হয়
আমার নিজের একটা স্বপ্নের পৃথিবী আছে
আছে মাধবীলতাকে অঙ্গে জড়িয়ে রাখার ইচ্ছা
এমনই এক রাজ্যের স্বপ্নের ছবি বুকের মাঝে
যেখানে তুমি আমি দু'জনে থাকবো সুখে
থাকবো মিশে দু'জনার বাহুডোরে
ভালোবেসে দু'জন দু'জনাকে চিরতরে।।
 
মাধবীলতা
তুমি সফল হও
তোমার স্বপ্ন পূরণ হোক
তোমার ইচ্ছেগুলোরা ডানা মেলে উড়ে বেড়াক
এইতো আমার চাওয়া
সত্যিই এইতো আমার একান্ত চাওয়া
দূরে থাকার দিনগুলো কমে যাক
কমে যাক খুব দ্রুত
কাছে থাকবো সারা জীবন তোমার সাথে
তোমার সাথে জড়িয়ে থাকবো
বৃক্ষের সাথে লতা যেমন জড়িয়ে থাকে
মাধবীলতা, এমন করেই থাকবো।।
 

মাধবীলতা ০৬ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

হতাম যদি আমি -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

আমি যদি শিল্পী হতাম
আঁকতাম তোমার ছবি
লিখতাম তোমায় নিয়ে কবিতা
আমি হতাম যদি কবি।

বানাতাম তোমার মূর্তি
ভাস্কর হতাম যদি
সোনায় সোনায় ভরিয়ে দিতাম
আমি হতাম যদি ধনী।

আমি অতি সাধারণ
আমার আছে ভালোবাসার মন
দিতে পারবো ভালোবাসা অফুরন।

তাতে কি তুমি হবে সুখী
ভরবে কি তোমার মন
তাতে কি পূর্ণ হবে তোমার জীবন।
 
হতাম যদি আমি -- মোঃ হেলাল উদ্দিন 

বৈশাখী মেঘ -- মোঃ হেলাল উদ্দিন


বৈশাখী মেঘের কাছে আমি কি চাইব
কি দিতে পারবে সে আমাকে
সে কি ফিরিয়ে দিতে পারবে
আমার মনের মানুষকে।।
যে হারিয়ে গেছে কোন এক
কাল বৈশাখীর ঝড়ে।।
সে কি ফিরিয়ে দিতে পারবে
আমার স্মৃতিময় মধুর দিনগুলো
যেই দিনগুলো ছিল শুধুই আনন্দের।।
সেই সুখময় দিনগুলো
হারানো প্রিয়জনকেই
বৈশাখী মেঘের কাছে আমার চাওয়া।।
----------------------
©Md. Helal Uddin®
        27/04/2016

Monday, March 24, 2025

হুমায়ুন আজাদের নারী, নারীবাদের এক দলিল -- মোঃ হেলাল উদ্দিন


নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আদিকালের স্বভাব, জন্ম জন্মান্তরের স্বভাব। এই স্বভাবকে নিজের নিয়ন্ত্রণে যারা আনতে পারে দিনশেষে তারা হয় অন্যান্য ব্যাক্তিত্বের মালিক। তবে ভুলে গেলে চলবে না, এই অন্যান্য ব্যাক্তিত্বের সংখ্যা অত্যান্ত গৌন। আর যা সহজে পাওয়া যায় তাকে নিষিদ্ধ করার অর্থ হলো আমি চাই ওই বিষয়টির প্রতিই যেন সবার নজর যায়। নারী বইয়ের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। হুমায়ূন আজাদ রচিত নারী বইটি প্রকাশ পায় ১৯৯২ সালে। প্রকাশের চার বছর পূর্ণ হওয়ার বেশ আগেই, ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর নারী নিষিদ্ধ করে তখনকার গণতান্ত্রিক সরকার। এরপর ৭ মার্চ ২০০০ সালে উচ্চ বিচারালয় কর্তৃক নিষিদ্ধকরণ আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
 
এই বইটিতে আছে মোট ২১টি অধ্যায়। তৃতীয় সংস্করণে আছে মোট ৪০৮ পৃষ্ঠা এবং নারীবাদ ও নারীবাদের কালপঞ্জি, রচনাপঞ্জি, নির্ঘন্ট সহ মোট ২৪টি অধ্যায়।
 
বইটি লেখার দৃষ্টিভঙ্গি
বইটি নারীদের জন্য লিখিত সমাজের অবস্থার বিচারে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা প্রথম বই। বইটি যেহেতু নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা সে কারণে বইটি যে নারীদের জন্য হয়ে উঠেছে এমনটা না। বর্তমানে তো নারীবাদী শব্দটা নিজের নামের পাশে লাগানোটা এক ধরণের ফ্যাশনেবল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না, আন্দোলন কখনো ফ্যাশনেবল হয় না। সকল মত ও বিশ্বাসের সাথে বিভিন্ন কুসংস্কারকে মিলিয়ে সকল মতগুলোকে এক বাক্যে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যে নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না তা বর্তমানে দেখা যায় নারীবাদী আদর্শে। কিছুটা এমন যে, বিজ্ঞানমনস্ক যেমন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের জন্য কল্যানকর কিছু নয়, তেমনই প্রচলিত নারীবাদী প্রথাও নারীদের জন্য কল্যানকর নয়। বরং কুসংস্কারের মতোই ক্ষতিকর। তবে বইটি যেহেতু প্রবন্ধগ্রন্থ, তাই এখানে থাকা প্রতিটি বিষয়ের সাথে যেমন দ্বিমত হওয়া সম্ভব নয়, তেমনই একমত হওয়াও সম্ভব নয়।
তবে বইটির পড়লে অন্তত কিছু বিষয় শেখা যাবে, কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা যাবে। অকাট ভাবে সব বিশ্বাস করে নিয়ে সমাজে তার প্রয়োগও ক্ষতিকর হবে।
 
বই সম্পর্কিত পর্যালোচনা
বইয়ের মূল প্রবন্ধালোচনার পূর্বে লেখক হুমায়ুন আজাদ তার বইয়ের সংস্করণ ভুমিকাতে বই নিয়ে এবং বই সম্পর্কিত অভিজ্ঞতার আলোকে নানা বিষয় তুলে আলোচনা করেছেন। তবে তার ভাষায় বয়ান দিয়েছেন বইটি প্রচলিত সমাজের নানা প্রথাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেচ্ছ। লেখকের লেখার প্রতি বিশ্বাস ও নিজস্ব বিশ্বাসের ভিত্তিতে এটা বলাই যায়। তবে তার বইটি কতটা প্রথাবিরোধী হয়ে আলোময় হবে তার বিচার তো করবে পাঠকবৃন্দ৷ তবে তার নিজস্ব বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুইটি বিষয় স্পষ্ট হয়-
১) লেখকের আত্মবিশ্বাস।
২) অন্যান্য সকল মত ও বিশ্বাসকে গলা চেপে ধরা। একমাত্র নিজস্ব মতকেই সঠিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্বাস করে অটল থেকে অন্যান্য বিশ্বাসকে অস্বীকার করে ফেলা।
প্রথমটি যৌক্তিক হলে আমার মতে দ্বিতীয়টি অমূলক। কেননা, মানুষ মাত্রই আমরা মৌলিক। সবার চাহিদা এক নয়। এখন একজনের স্বাধীনতার সাথে অন্যজনের স্বাধীনতা মিল হবে না এটাই স্বাভাবিক। সেখানে লেখক যদি তার নিজস্ব আলোচনাকেই একমাত্র বৈধ ও কার্যকরী মনে করেন তবে তা গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হবে না। হওয়ার মতোও নয়। অপরদিকে, তিনি যে পুরুষতান্ত্রিকতার বিরোধীতা করে কথা বলেছেন, তিনি নিজেও তো একজন পুরুষ! একজন নারীর স্বাধীনতা তো যদি তার মতের সাথে না থাকে তার মানে কি তার মতটি পুরুষতান্ত্রিক পরিচিতি বাহক নয়?
লেখক অবতারণা অংশে লিখেছেন, প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রথম শিকার নারী। প্রতিক্রিয়াশীলেরা সমাজ দখল করে প্রথমেই নারীকে সমাজ থেকে বের করে দেয়। অর্থাৎ তার সব অধিকার বাতিল করে ঘরে ঢুকিয়ে তাকে করে তুলে পুরুষের দাসীও ভোগবস্তু।
লেখক এখানে নিজের চিন্তাকে মৌলবাদীতার পরিচয়ে দীক্ষা দিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। কেননা তিনি যে দৃষ্টিকোণ থেকে বলেছেন, তা আধৌ নারীদের জন্য সমান ভাবে স্বস্থিদায়ক?
একজন নারী ঘরে কাজ করে মানে কি তার কাজের মূল্য নেই?
শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রাপ্তিগুলোই সকল অধিকারের মূল? যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে লেখকের দাবী সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কেননা, নারীদের স্বভাবসূলব অন্যতম বৈশিষ্ট্য তারা ঘরে স্বস্থিবোধ করেন এবং নিজস্ব স্পেসে থাকতে চায়।
একজন ঘরে কাজ করলে অপরজন বাহিরে কাজ করলে কি এটা অর্থ দাঁড়ায় যে, যে ব্যাক্তি ঘরে কাজ করে সে মানুষ নয়। বরং যে বাহিরে কাজ করে সেই একমাত্র মানুষ?
পঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সমাজের ক্ষমতার উৎস ওই অর্থের উপরই নির্ভর করে। যে ক্ষমতা অর্থের ভিত্তিতে পাওয়া যায়, তাই কি শুধুমাত্র নারীদের মুক্তির মানদণ্ড হতে পারে? নারীবাদী দৃষ্টিকোণ এখানেই লেখকের চিন্তার মধ্য দিয়ে মৌলবাদী চিন্তাধারা প্রকাশ করেছে। লেখকের এমন কথাগুলো নারীর অনুভুতি এবং স্বস্থিগত স্পেসকে রুদ্ধ করে দিয়েছে।
বইটি লেখার উদ্দেশ্যতে লেখক বলেছেন, নারীপুরুষের সার্বিক সাম্য। লেখকের এমন উদ্দেশ্য ও ব্যবহৃত শব্দের সাথে আমি সম্পুর্ন একমত।
সাধারণত আমাদের সমাজে ব্যবহৃত হয়, পুরুষের মতো নারীকেও সমান অধিকার দিতে হবে। এখানে তুলনাগত দিকটাই ভুল। নারীকে পুরুষের মতো হতে হবেই এমন চিন্তাধারা ভুল। পুরুষ ও নারীর মধ্যে শুধুমাত্র শারিরীক বৈশিষ্ট্য'র ভিন্নতাই নেই। বরং মানসিক ও অনুভুতিমূলক বৈপরীত্যও বিরাজ করে। তাহলে একমাত্র মানুষ হওয়ার মাপকাঠিতে পুরুষ ই বিবেচিত হবে? এ ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ আকরাম নদভীর "আল মুহাদ্দিসাত গ্রন্থের একটি অংশ তুলে ধরছি "যদি পুরুষ পারে, তবে নারী কেন পারবে না' ধারণাটি আরও একটি কারণে এই বইয়ের পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে পারে। কারণ, ধারণাটি দাঁড়িয়ে আছে কিছু অনিরাপদ অনুমানের ওপর। যেমন : মনে করা হয়, নারী ও পুরুষের মধ্যকার প্রাকৃতিক পার্থক্য যদি আইন ও সামাজিক রীতিনীতি দ্বারা আরও বেশি করে বাড়িয়ে তোলা হয়, তবে তা হবে নারীর প্রতি একধরনের অবিচার। এমনকি অনেকে এই যুক্তিও দেখান, নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক পার্থক্যগুলো সামাজিক, আইনি কিংবা জৈব প্রকৌশলের (Bioengineering) মাধ্যমে কমিয়ে এনে নারীর প্রতি অবিচার রোধ করা উচিত। তারা মনে করে—এই প্রকৌশল আমরা প্রয়োগ করতে পারি। কারণ, এসব পার্থক্যের বিরাট কোনো মূল্য নেই। বাস্তব জীবনের সঙ্গে এগুলো সম্পর্কিতও নয়।"
 
নারী প্রবন্ধমূলক বই। এতে লেখক আলোচনা করেছেন নারীকেন্দ্রিক বিষয়গুলোর উপস্থিতি। বিভিন্ন অঞ্চলে হওয়া নারীদের নিয়ে হওয়া কুসংস্কার গুলো। বার বার পুরুষের বানানো আইন হয়, নারীর ক্ষেত্রে কঠোরভাবে এবং পুরুষের ক্ষেত্রে শিথিলতায় যুক্ত।
নারীর মন ও মানসিক স্বস্থি আধৌ কোথায় তা না বোঝার যে অক্ষমতা সেগুলোকেও লেখক তুলে এনেছেন। নানা ভাবে নিজের ভাষায় মত প্রকাশ করেছেন, বিভিন্ন মানুষের মতগুলোকেও তুলে এনেছেন তিনি এবং তার করেছেন বিশ্লেষণ। তবে বিশ্লেষণ করেছেন স্পষ্ট ভাষায়। সেগুলোকে কিছুটা লেখক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলেও তার বেশিরভাগই সত্য। শুধু সত্যই নয়, সেগুলো সমাজে আজও প্রতিষ্ঠিত। তবুও লেখকের সমস্ত আলোচনার ভিত্তিতে লেখাকে দুইভাগে বিভক্ত করা যায়-
 
১) সমালোচনাঃ- এ অংশে লেখক বিভিন্ন ব্যাক্তি, ধর্ম ও সমাজে হওয়া নানা বিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরোধীতা করে সমালোচনা করেছেন। তবে সমালোচনায় অপূর্ণতা ছিলো এই ভেবে যে, লেখক সেগুলো পূর্ণাঙ্গ ভাবে তুলে ধরেননি। কেবল যে কথাগুলোকে তিনি সমালোচনার জন্য নিতে পারেন এবং তার সমালোচনার আলোচনার সাথে সম্পর্কিত সে অংশই।
প্রথম অংশে আমরা দেখতে পাই, লেখক শুরুই করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নারীবিশ্বাস ও বর্ণনার সমালোচনা দ্বারা। তবে এখানে লেখক, সমস্ত পুরুষের এক মহৎ প্রতিনিধি বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। লেখক এখানে কোন যুক্তিতে সমস্ত পুরুষের প্রতিনিধিরুপে ঠাকুরকে সাভ্যস্থ করেছেন ধ্রুবভাবে তা ব্যাখ্যা করেননাই। বিষয়টি আমার কাছে যৌক্তিকতার বিচারে সম্পুর্ন অযৌক্তিক শাব্দিক সৃষ্টি বলে মনে হয়েছে।
তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ সিগমুন্ড ফ্রুয়েডদের তিনি সমালোচনা করেছেন। সমালোচনায় এনেছেন বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের কথাগুলো। তবে লেখক এখানে যে বিষয়টি ভুল করেছেন তা হলো, নিজের আলোচনার প্রাসঙ্গিকতার সাথে যে কথা গিয়েছে স্রেফ ততটুকুই নিয়েছেন। তবে একবারও বুঝতে চেষ্টা করেন নাই, কিভাবে ও কোন পরিস্থিতিতে কিসের ভিত্তিতে কথাগুলো বলেছেন। ফলে লেখক প্রাণহীন সঞ্চারীরুপে কথাগুলো বিচার করেছেন। লেখক নারীকে প্রশংসাসূচক শব্দগুলোকে কামনা বাসনায় পূর্ণ দাবী করেছেন, যেন শব্দগুলো শুনলেই যৌন উত্তেজনা তৈরি হয় পুরুষের মনে। যদি তা শুনলে পুরুষের মধ্যে তা জাগে না।
তবে লেখক তার নিজের ভাষায় যা বলেছেন তাতে অনেকটাই বাস্তবসম্মত। আজও সমাজে নারীলোক, বেডি, মেয়েমানুষ বললে অনেকে নাকছিটকায়। তাদের ভাবটা এমন যেন, নারী শব্দটাও কদাচিৎ!
লেখক বিভিন্ন ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মীয় গ্রন্থের সুরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতকে রেফারেন্স টেনে সেখানে অনুবাদে স্রেফ ভাষান্তর নিজ ভাষায় প্রকাশ করেছেন। তবে এই আয়াতকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন নিজের মতো করে যদিও তার উপস্থিতি শুন্য। অথচ উচিৎ ছিলো প্রশ্ন করা "পুরুষরা কি "নারীর দায়িত্বে"?
“ধার্মিক নারীদের” বৈশিষ্ট্য কী?
নুশুজ কী এবং এর পরিণতি কী?
একজন পুরুষ কি তার স্ত্রীকে আঘাত করতে পারে?"
যৌনতা একটি প্রানীদের মৌলিক /বেসিক নীড। এটার জন্য স্ত্রীজাত ও পুরুষজাতকে তৈরি করা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। ফলে মিলন দন্ড কিংবা যোনী-স্তন-জরায়ু থাকা মানে এই নয়, সে অপক্ষমতায় আক্রান্ত। লেখক এখানে প্রানীর দৈহিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মনস্তাত্ত্বিক গঠনকে চিন্তা না করেই, স্রেফ একজনের উপরে অন্যজনের উঠাকেই সাভ্যস্থ করেছেন নারীর অধিনতার। বিষয়টির সাথে রাজনৈতিক আক্ষা দিয়েছেন যদিও তা যথেষ্ট যৌক্তিক আলোচনা সাপেক্ষে। তবে তার বিপরীতের বিশ্লেষণ কিংবা যুক্তিগুলোকে আপোষে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন।
মূল কথা, লেখক সমালোচনা করেছেন যাদের তার ব্যাপারে লেখকের অজ্ঞতার পরিমান ই বেশি ছিলো। কোন সময়ে, কিসের ভিত্তিতে, কি বুঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে তা লেখক প্রকাশ করেননাই, এবং নিজে বুঝতে পেরেছেন নেতিবাচক ভাবে।
ফলে সমালোচনার বেশিরভাগটাই অপূর্ণ হলেও তার উত্থাপিত বিষয়গুলোকে অস্বীকার করার উপায়ও নেই।
লেখক বলেছেন, "পুরুষতন্ত্র প্রচার করে যে পুরুষের প্রভুত্ব ও নারীর অধীনতা প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক। কোনো কিছুকে প্রাকৃতিক/স্বাভাবিক বলার অর্থ হচ্ছে তা মানুষের তৈরি নয়, তা কোনো শাশ্বত বিধানের ফল । তাই তা প্রশ্নের ওপরে, তা অসংশোধনীয়। কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো কিছুই শাশ্বত নয় : বিধাতা, ধর্ম, রাজা, প্রজা, ধনী, দরিদ্র সবই মানুষের তৈরি। সুবিধাভোগীরা চিরকালই দোহাই দেয় ঈশ্বরের, প্রকৃতির, স্বভাবের; কেননা তাতে রক্ষা পায় তাদের স্বার্থ।"
এখানে লেখকের সাথে দ্বিমত যেমন তেমনই একমতও আমি। কেননা লেখক, দাবী করেছেন মানুষের জীবনে কোনো কিছুই শ্বাশত নয়। তাহলে আমরা শ্বাশত বিষয়গুলোর উপস্থিতি কেন পাই? কেন আমাদের সৃষ্টিজগতেই শ্বাশত্যের হাজারো রহস্যময় অস্তিত্বের দেখা পাই? একই সাথে লেখক বলেছেন স্বার্থবাদীদের কথা। যুগে যুগে, প্রতিটি সময়েই আমরা এদের দেখতে পাই। স্রেফ এদের কারণেই ওই বিশ্বাসের প্রকৃত উৎসকে কুসংস্কার ভাবাটা অন্যায় ও বোকামী।
 
২) আলোচনাঃ- এ অংশে লেখক যারা যুগে যুগে নারীদের অধিকারের জন্য কাজ করেছেন তাদের কথাই টেনেছেন। তবে তার মতের একাত্ম গুলোকেই তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। লেখক নানা ধরণের কুসংস্কার গুলো তুলে ধরেছেন। একজন মানুষ হুমায়ুন আজাদকে অপছন্দ করতেই পারে, ঘৃণাও করতে পারে। তবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে চর্চা হওয়া কুসংস্কারগুলোর প্রতি নিন্দা জাগবেই তা পড়লে।
আমি মনে করি, এটাও লেখকের লেখার স্বার্থকতা। বইটিতে ব্যবহৃত হয়েছে নানা কুসংস্কারের উদাহরণ সেগুলো সব তো আর তুলে ধরা সম্ভব না। সুদানের একটা অন্ধত্বে নিমজ্জিত কুসংস্কারের কথাই বলা যাক। নারীদের খৎনার প্রচলনের উদাহরণ দিয়েছেন লেখক। যোনীতে ঋতুস্রাব ও মুত্ররন্ধ্র অল্প খোলা রেখে যোনী পাতা সহ পুরোটাই সেলাই করা হতো! একবার ভাবুন কতটা নিষ্ঠুরতা ও কথিত আধিপত্যের জন্য অমানুষিক কাজ হলে এমনটা ঘটে!
বিবাহের পরে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের জন্য হালকা খুলে দেওয়া হয়, সন্তান প্রসব কালে আরও একটু খুলে দেওয়া হয়।
এরপর স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে আবারও সেলাই করে দেওয়া হতো! যোনীর উপর, স্তনের উপর, জরায়ুর উপর, নারীর পায়ুপথের উপর পুরুষের এমন নোংরা আধিপত্যগুলোর কঠোর সমালোচনার সাথে সেগুলোর বিরুদ্ধে থাকা মানুষগুলোর কথাও তুলে ধরেছেন লেখক।
এখানে লেখক নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ দেখাতে ব্যার্থ হয়েছেন।
 
 Baatighar Dhaka - নারী হুমায়ুন আজাদ মূল্য ৳ ৪০০ অনলাইনে অর্ডার করুন :  baatighar.com/shop/product/5400 বাতিঘরের যে কোন শাখায় যোগাযোগ করতে ইনবক্স  করুন : linktr.ee ...
 
বইঃ নারী
লেখকঃ হুমায়ুন আজাদ
প্রকাশকঃ আগামী প্রকাশন
মূল্যঃ ৪০০ টাকা মাত্র

Sunday, March 23, 2025

রমাযানের শেষ দশকের আমলঃ লাইলাতুল কদর -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি এ কুরআন মহিমান্বিত রাত্রিতে। আর আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রাত্রি কী? মহিমান্বিত রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রাত্রে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ এবং রূহ তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে অবতীর্ণ হয়। সেই রাত্রি শান্তিই শান্তি, ফজর হওয়া পর্যন্ত।’’ (আল-কদরঃ ১-৫)

এখানে মহিমান্বিত রাত্রি বলতে লাইলাতুল কদরের কথা বলা হয়েছে, যা পবিত্র রমাযানের শেষ দশক তথা নাজাতের দশ রাতের কোন এক রাত্রিতে রয়েছে। তাই রমাযানের শেষ দশকের আমলে একটা অন্যতম আমল হলো লাইলাতুল কদরের রাত্রিতে বেশি বেশি ইবাদাত করা। লাইলাতুল কদরের রাত্রি রমযানের কোন তারিখে এবং এই রাত্রিতে ইবাদাতের ফযিলত কি এই সম্পর্কে সহহী বুখারী শরীফের কতিপয় হাদিস নিয়ে আলোচনা করা হলো।

উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে লাইলাতুল কদরের (নির্দিষ্ট তারিখ) অবহিত করার জন্য বের হয়েছিলেন। তখন দু’জন মুসলিম ঝগড়া করছিল। তা দেখে তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল কদরের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, তখন অমুক অমুক ঝগড়া করছিল, ফলে তার (নির্দিষ্ট তারিখের) পরিচয় হারিয়ে যায়। সম্ভবতঃ এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে তা তালাশ কর। (৪৯) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯৩)

‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রমাযানের শেষ দশক আসত তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (মুসলিম ১৪/৩, হাঃ ১১৭৪)  (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯৪)

ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমাযানের শেষের সাত রাত্রে লাইলাতুল ক্বদর দেখানো হয়। (এ শুনে) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে। (১১৫৮, মুসলিম ১৩/৪০, হাঃ ১১৬৫, আহমাদ ৪৫৪৭) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৮৫)

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তা শেষ দশকে, তা অতিবাহিত নবম রাতে অথবা অবশিষ্ট সপ্তম রাতে অর্থাৎ লাইলাতুল কদর [ক্বদর]। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে অন্য সূত্রে বর্ণিত যে, তোমরা ২৪তম রাতে তালাশ কর। (২০২১) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯২)

‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন এবং বলতেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। (২০১৭) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯০)

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমাযানে ঈমানের সাথে ও সওয়াব লাভের আশায় সওম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সুলায়মান ইবনু কাসীর (রহ.) যুহরী (রহ.) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (৩৫) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৮৪)

পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারীমের সূরা ক্বদরে ঘোষণা করেছেন- লাইলাতুল ক্বদর হাজার মাসের (ইবাদাতের) চেয়েও উত্তম। সহীহ শুদ্ধ হাদীস থেকে জানা যায় যে, লাইলাতুল ক্বদর রমাযানের শেষ দশ দিনের যে কোন বিজোড় রাত্রিতে হয়ে থাকে। বিভিন্ন সহীহ হাদীসে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে লাইলাতুল ক্বদর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখিত আছে। হাদীসে এ কথাও উল্লেখিত আছে, যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিজোড় রাত্রিতেই তা হয় না। (অর্থাৎ কোন বছর ২৫ তারিখে হল, আবার কোন বছর ২১ তারিখে হল এভাবে। আমাদের দেশে সরকারী আর বেসরকারীভাবে জাঁকজমকের সঙ্গে ২৭ তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল ক্বদরের রাত হিসেবে পালন করা হয়। এভাবে মাত্র একটি রাত্রিকে লাইলাতুল ক্বদর সাব্যস্ত করার কোনই হাদীস নাই। লাইলাতুল ক্বদরের সওয়াব পেতে চাইলে ৫টি বিজোড় রাত্রেই তালাশ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদরের সওয়াব পেতে সঠিক রাত্রিতে ইবাদাত করার সুযোগ দান করুন এবং আমাদের রমযান ও রমযান মাসের সকল ইবাদাত কবুল করুন। আমীন।

রমাযানের শেষ দশকের আমলঃ লাইলাতু কদর -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

রমাযানের শেষ দশকের আমলঃ লাইলাতুল কদর -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

Sunday, March 2, 2025

মাধবীলতা -- মোঃ হেলাল উদ্দিন

 

 

নতুন কবিতার বই

 


 

মাধবীলতা

মোঃ হেলাল উদ্দিন